জয় চক্রবর্তী, বনগাঁ: অশান্ত কাবুলে আটকে পড়েছিল বিদ্যুৎ,পলাশ, প্রবীর-রা। উৎকন্ঠায় পরিবারের লোকজনের খাওয়া-ঘুম বন্ধ হতে বসার জোগাড়। সোমবার গভীর রাতে অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে তাঁদের পরিবারে ৷ পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে,ঘরের ছেলেরা ঘরে ফেরায় খুশির হাওয়া এখন গোটা গ্রামে। দেখুন ভিডিও:
আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানের পরে বাড়ি ফিরতে চেয়ে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বিদ্যুৎ,পলাশ, প্রবীর-রা। দেশে ফেরানোর আশ্বাস দেওয়া হয় তাঁদেরকে। এ দিকে, তালিবানদের অত্যাচারের নানা ঘটনা সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পারছেন তাঁদের পরিবার পরিজনেরা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা।
আমেরিকান সেনাদের ক্যাটারিং এর কাজে আফগানিস্তান পাড়ি দিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার পাল্লা পঞ্চায়েতের শংকরপুর গ্রামের বিদ্যুৎ বিশ্বাস ও পলাশ সরকার এবং রঘুনাথ পুরের বাসিন্দা প্রবীর সরকার । ঠিকাসংস্থার মাধ্যমে সে দেশে গিয়ে কাবুল বিমানবন্দরের কাছে একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। সেখানে আমেরিকান সেনাদের খাবার পরিবেশন করার দায়িত্ব ছিল তাঁদের।বিদ্যুৎ বিশ্বাস জানান আমেরিকান সৈন্যরা সাহায্য করেছে বাড়ি ফিরে আসার জন্য,তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরও জানান তাঁদের চোখের সামনে জলের স্রোতের মতো দ্রুত গতিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কাবুল দখল করে নিল তালিবানি সেনারা। ঘর থেকে বাইরের ওই পরিস্থিতি দেখে আমাদের মধ্যে আরও আতঙ্ক কাজ করছিল। তালিবানরা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। আর সে কারণেই আমরা প্রতি মুহূর্তে বাড়ি ফিরে আসার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। এয়ারপোর্টের ভেতরে আমেরিকান সেনাদের তত্ত্বাবধানে আমরা একটি ঘরের মধ্যে আটকে ছিলাম। সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাড়ি ফেরাটা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে আমরা কাজ ছেড়ে দিয়ে কাবুল এয়ারপোর্টের ভেতরে ঘরের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকি।
তাঁদের কথায়, ‘‘ক’টা দিন খুব উদ্বেগের মধ্যে কেটেছে। এখন বাড়ি পৌঁছে নিশ্চিন্ত হয়েছি । পরিবারের খুশির হাওয়া, পাশাপাশি গোটা গ্রামের মানুষও যেন স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন ওদেঁর প্রত্যাবর্তনে ।’’