গোটা দুনিয়া জুড়ে এক ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস।এই করোনা ভাইরাসের প্রকোপে এখনও পর্যন্ত গোটা পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে চলেছে।শুরু হয়েছিল চীন দিয়ে,সেখানে প্রায় তিন হাজারের বেশী মানুষ মারা গেছে।এরপর এই ভাইরাসের প্রকোপ ক্রমশ নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
এদেশেও এখনও পর্যন্ত ৫৮ জন এই রোগের শিকার বলে সরকারি তথ্যে ঘোষণা করা হয়েছে।স্বাভাবিক ভাবেই ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাডাতে নানা কর্মসূচি নিয়েছে।গণমাধ্যমগুলিতে বার বার ঘোষণা করা হচ্ছে অচেনা অজানা বা আচমকা বাইরে থেকে আসা মানুষজনের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভাবে মেলা মেশা বন্ধ করতে হবে।
মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।হাত মুখ ও চোখ পরিষ্কার করতে উপযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে।যত্র তত্র থুথু ও কফ কাশ ফেলা বন্ধ করতে হবে।এগুলি মেনে চললে এই ভাইরাসের প্রকোপ প্রতিহত করা সম্ভব।বলা বাহুল্য কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারও তার স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ শুরু করে দিয়েছে।সরকার তার কাজ য়থার্থ ভাবেই করছে,তাতে কোন সন্দেহ নেই তবু এ বিষয়ে আর কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য দেওয়া দরকার।
সবচেয়ে বড কথা যেভাবে আতঙ্ক চড়িয়ে পডছে তাতে মনে হচ্ছে দেশ বিদেশে সবাই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আর টপাটপ মরে যাচ্ছে।বলা প্রয়োজন বিষয়টা একেবারেই সেরকম নয়,আসলে ভাইরাস বাহিত এই রোগ দ্রুত সংক্রামিত হতে পারে তবে সচেতন ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা থাকলে সমস্যা হবে না।
আসল কথাটা হল বিশ্বের তাবড় তাবড় শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলি যুদ্ধ জয়ের অস্ত্র ও নানা ব্যবসায়িক লাভজনক জিনিস পত্র আবিষ্কার বা উত্পাদন করতে যতটা আগ্রহ ও উত্সাহ দেখিয়েছে তার সামান্যতমও দেখায়নি সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করে তুলতে।চীনের মত অত উন্নত একটা দেশ কেন করোনা ভাইরাস মোকাবিলার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করে নি, সে প্রশ্ন উঠবেই।কেন আমেরিকা-ভারত যে সব দেশ পৃথিবীতে নিজেদের শক্তি দেখাতে এতটা তত্পর তারা মানুষের জীবন রক্ষার বিষয়ে উদাসীন সে প্রশ্নও এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
পরিশেষে আবারও বলা করোনা নিয়ে অয়থা আতঙ্কে না ভুগে দরকার সতর্ক থাকা।মানুষ সতর্ক থাকুক করোনা ভাইরাস প্রতিহত করতে,একই সঙ্গে সরকারকে দিয়ে সঠিক সময়ে সঠিক কাজ আদায় করে নিতেও।