মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী,কে টুইট করলেন নরেন্দ্র মোদি, চমকে উঠল জাতীয় রাজনীতির অলিন্দ

0
1011

দেশেরসময়ওয়েব ডেস্কঃ বুধবার সাতসকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক টুইটে চমকে উঠল জাতীয় রাজনীতির অলিন্দ। একটিই টুইট করেছেন তিনি। রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক এবং অভিনেতা–অভিনেত্রীদের উদ্দেশ্যে৷ শুরুটা কিন্তু কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে। তারপর বিরাট কোহলি, রণবীর সিং, ভিকি কৌশল–সহ আরও অনেকে রয়েছেন। একমাস বাদেই ভোট। তাই নিজেকে সবার সামনে ধরে রাখতেই এই টুইট কৌশল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।


কী টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী?‌ টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‌নতুন প্রজন্মের অনেকেই আপনাদের অনুগামী। এটাই উপযুক্ত সময় আপনাদের বলার জন্য। আমাদের সময় এসে গিয়েছে। তাই এই সময়ে চূড়ান্ত জোশ নিয়ে মানুষকে ভোট কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে। কারণ এটাই গণতন্ত্রের বড় কাঠামো।’‌

এই টুইটের মধ্য দিয়ে দুটি বার্তা দিতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক, সবাই যাতে ভোট দিতে আসেন তার প্রচার করতে। দুই, নতুন প্রজন্মের ভোট দান অত্যন্ত প্রয়োজন।
তিনি এই টুইটটি প্রথম করেন তাঁর বিরোধী সাতজন রাজনীতিবিদকে। যাঁরা এই লোকসভা নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর। তাঁরা হলেন, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব এবং এমকে স্ট্যালিন। জাতীয় রাজনীতিতে এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এখন নরেন্দ্র মোদির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। যে কোনও মুহূর্তে তাঁরা জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট পাল্টাবার ক্ষমতা রাখেন। তাই তাঁদেরকে আগে টুইট করেছেন মোদি বলে মনে করছেন অনেকে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল লতা মঙ্গেশকর এবং এআর রহমানকেও টুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‌এই ভোট হল মানুষের আওয়াজকে শক্তিশালী করার পথ।’‌ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকেও তিনি পৃথকভাবে টুইট করেছেন। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ভোট চলবে গোটা দেশে। তাই নিজের ব্যক্তিগত ইমেজকে তুলে ধরতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে বলে খবর।

Previous articleএবার দেশে প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের ৪১ শতাংশ মহিলা প্রার্থী ,গায়ে কাঁটা দিচ্ছে বললেন মমতা
Next articleবাংলার সব বুথ কেন সুপার সেনসিটিভ ? বিজেপিকে প্রশ্নবাণ মমতার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here