দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভারতরত্নের তালিকায় আরও এক বাঙালি। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে ভারতরত্ন পেলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। আজীবন কংগ্রেসি রাজনীতি করে এসেছেন যে প্রণব মুখার্জি, এবার ভারতরত্ন প্রাপক। আর কেন্দ্রের এটা নিজেদের ভাবমূর্তি বাঁচানোর কৌশল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তবে টুইটারে প্রণব মুখার্জিকে শুভেচ্ছা জানালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। আর এটাও স্মরণ করিয়ে দিলেন, প্রণব মুখার্জি কংগ্রেসেরই লোক।
রাহুল গান্ধী টুইটারে লিখেছেন, ‘ভারতরত্ন সম্মান পাওয়ায় প্রণব দাকে অভিনন্দন। জনসাধারণের কাজে ও দেশ গঠনে তাঁর ভূমিকা আজ স্বীকৃতি পেয়েছে। তাঁকে সম্মানিত করায় গর্বিত কংগ্রেস।’ প্রণববাবুর মেয়ে কংগ্রেস নেত্রী শর্মিষ্ঠা মুখার্জি লিখেছেন, ‘পরিবারের জন্য গর্বের মুহূর্ত।’
প্রণববাবুকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, ‘প্রণব দা দারুণ রাজনীতিবিদ। কয়েকদশক ধরে দেশের জন্য নিঃস্বার্থ এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি। তাঁর মতো জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা খুব কম লোকেরই আছে। তাঁকে ভারতরত্ন দেওয়ায় আমি খুশি।’ যদিও পাল্টা প্রণব মুখার্জি জানিয়েছেন, ‘ভারতবাসীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এই সম্মান গ্রহণ করছি। বারবার বলে এসেছি দেশের মানুষকে যা দিয়েছে, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি আমি।’ ভারতরত্ন সম্মান পেলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। দেশের ৭০ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে শুক্রবার সন্ধেয় রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। এটাই দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান। একইসঙ্গে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছে শিল্পী ভূপেন হাজারিকা ও সমাজকর্মী, একসময়কার ভারতীয় জনসঙ্ঘ নেতা নানাজি দেশমুখকে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ঘোষণার পরেই সম্মানিতদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘প্রণব মুখার্জি আমাদের সময়ের একজন অসাধারণ রাষ্ট্রনেতা। বহু দশক ধরে তিনি অক্লান্ত ও নিঃস্বার্থভাবে জাতির সেবা করেছেন। দেশের প্রগতিতে একটা জোরালো ছাপ রেখেছেন তিনি। তাঁর প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তা অতুলনীয়। তাঁকে ভাররত্ন দেওয়া হয়েছে জেনে আমি আনন্দিত।’ শিল্পী ভূপেন হাজারিকাকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘বহু প্রজন্ম ধরে মানুষ ভূপেন হাজারিকার গান ও সঙ্গীত উপভোগ করেছেন। তাঁর সঙ্গীতের মধ্যে রয়েছে ন্যায়বিচার, সমন্বয় ও ভ্রাতৃত্বের বাণী। বিশ্বজুড়ে ভারতীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্যকে তিনি জনপ্রিয় করেছেন। ভূপেনদাকে ভারত রত্ন দেওয়ায় আমি খুশি।’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর টুইটে আরও লিখেছেন, ‘গ্রামের উন্নয়নে নানাজি দেশমুখের অবদান গ্রামীণ মানুষের ক্ষমতায়নে এক নতুন পথ দেখিয়েছে। বিনয়, গরিবদের প্রতি মমতা ও সেবার প্রতীক তিনি। প্রকৃত অর্থেই তিনি একজন ভারতরত্ন।’ কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের আমলে প্রণববাবুকে পদ্মবিভূষণ উপাধিতে সম্মানিত করা হয়েছিল। সেরা সাংসদের পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। এর আগে আশির দশকে প্রণববাবু সেরা অর্থমন্ত্রীর পুরস্কারও পেয়েছিলেন। কিন্তু ভারত রত্ন তো ভারত রত্নই। সেরার সেরা। প্রণববাবুর রাজনৈতিক জীবন এবং প্রকৃত রাষ্ট্রনেতা হিসেবে তাঁর অবদানের জন্যই তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রণববাবুকে ভারতরত্ন দিয়ে বাংলার আবেগকে ধরতে চাইলেন মোদী। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে আরএসএস-এর সদর দফতরে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত রাজনীতির উর্দ্ধে।
ভারতরত্ন সম্মান পেলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। দেশের ৭০ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে শুক্রবার সন্ধেয় রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে। এটাই দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান। একইসঙ্গে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছে শিল্পী ভূপেন হাজারিকা ও সমাজকর্মী, একসময়কার ভারতীয় জনসঙ্ঘ নেতা নানাজি দেশমুখকে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ঘোষণার পরেই সম্মানিতদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘প্রণব মুখার্জি আমাদের সময়ের একজন অসাধারণ রাষ্ট্রনেতা। বহু দশক ধরে তিনি অক্লান্ত ও নিঃস্বার্থভাবে জাতির সেবা করেছেন। দেশের প্রগতিতে একটা জোরালো ছাপ রেখেছেন তিনি। তাঁর প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তা অতুলনীয়। তাঁকে ভাররত্ন দেওয়া হয়েছে জেনে আমি আনন্দিত।’ শিল্পী ভূপেন হাজারিকাকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘বহু প্রজন্ম ধরে মানুষ ভূপেন হাজারিকার গান ও সঙ্গীত উপভোগ করেছেন। তাঁর সঙ্গীতের মধ্যে রয়েছে ন্যায়বিচার, সমন্বয় ও ভ্রাতৃত্বের বাণী। বিশ্বজুড়ে ভারতীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্যকে তিনি জনপ্রিয় করেছেন। ভূপেনদাকে ভারত রত্ন দেওয়ায় আমি খুশি।’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর টুইটে আরও লিখেছেন, ‘গ্রামের উন্নয়নে নানাজি দেশমুখের অবদান গ্রামীণ মানুষের ক্ষমতায়নে এক নতুন পথ দেখিয়েছে। বিনয়, গরিবদের প্রতি মমতা ও সেবার প্রতীক তিনি। প্রকৃত অর্থেই তিনি একজন ভারতরত্ন।’ কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের আমলে প্রণববাবুকে পদ্মবিভূষণ উপাধিতে সম্মানিত করা হয়েছিল। সেরা সাংসদের পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। এর আগে আশির দশকে প্রণববাবু সেরা অর্থমন্ত্রীর পুরস্কারও পেয়েছিলেন। কিন্তু ভারত রত্ন তো ভারত রত্নই। সেরার সেরা। প্রণববাবুর রাজনৈতিক জীবন এবং প্রকৃত রাষ্ট্রনেতা হিসেবে তাঁর অবদানের জন্যই তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রণববাবুকে ভারতরত্ন দিয়ে বাংলার আবেগকে ধরতে চাইলেন মোদী। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে আরএসএস-এর সদর দফতরে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত রাজনীতির উর্দ্ধে।
প্রণববাবুর গ্রহণযোগ্যতা সর্বস্তরে। একজন ব্রাহ্মণ নেতা হয়েও দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, হিন্দু থেকে মুসলমান সবার মধ্যেই গ্রহণযোগ্য তিনি। কূটনৈতিক পরিসরে এবং সংসদীয় রাজনৈতিক জীবনেও অসামান্য ভূমিকা তাঁর। বর্তমানে প্রণববাবুর সমতুল্য নেতা নেই বললেই চলে। অতীতে যে কারণে অটলবিহারী বাজপেয়ীকে ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল, সেই একই কারণে প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে বলে ধারনা অনেকের। ভারতরত্ন