দেশের সময়ওয়েবডেস্ক: জিয়া চ্যারেটেবল ট্রাস্ট মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল বাংলাদেশের একটি আদালত। কয়েকদিন আগেই জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট মামলায় আট মাসের কারাদণ্ডের সাজা হয়েছিল তাঁর।
সোমবার পুরনো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান এই রায় দেন।
এই মামলাতেই খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্নান ও বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলামকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ ছিল খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের হয়েছিল। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন না খালেদা জিয়া। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী এখনও পলাতক। জিয়াউল ও মনিরুলকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল
ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় খালেদা জিয়াকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। আর আর্থিক ক্ষতি করার ব্যাপারে সহযোগিতা করার দায়ে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় হারিছ, জিয়াউল ও মনিরুলকে ৭ বছর দণ্ড দেওয়া হয়।
সাজা ঘোষণার সময় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তবে মুন্না ও মনিরকে আদালতে হাজির করা হয়। আর হারিছ চৌধুরী বিচারের শুরু থেকেই পলাতক। খালেদা জিয়ার পক্ষে কোনো আইনজীবীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।