দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ এপ্রিল মাসে মেয়াদ ফুরোতে চলা ৫৫টি রাজ্যসভার আসনের ভোটগ্রহণের দিন ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এদিন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে বাংলার ৫টি আসন-সহ দেশের ৫৫টি রাজ্যসভার আসনের ভোট হবে আগামী ২৬ মার্চ।
বাংলা থেকে যে পাঁচজন রাজ্যসভার সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাঁরা হলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগেন চৌধুরী, কেডি সিং, মণীশ গুপ্ত এবং আহমেদ হাসান।
২০১৫ সালে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থাকার সময়ে ঋতব্রতকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠিয়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। রেজ্জাক মোল্লাদের প্রবল আপত্তি স্বত্তে ও সুবক্তা ছাত্রনেতাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তীরা। শ্যামল চক্রবর্তীর ছেড়ে আসা আসনে প্রার্থী করা হয় আশুতোষ কলেজের প্রাক্তনীকে। সেই সময়ে বামেদের যা বিধানসভায় আসন সংখ্যা ছিল তাতে জিততে অসুবিধে হয়নি ঋতব্রতর।
কিন্তু ২০১৭ সালে তরুণ এই নেতাকে বহিষ্কার করতে বাধ্য হয় সিপিএম। তারপর থেকে রাজ্যসভায় নির্দল সাংসদ হিসেবেই ছিলেন তিনি।
কিন্তু এখন ঋতব্রতর ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে তৃণমূলের সঙ্গে। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সরকারি কমিটি–মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জায়গা দিয়েছেন তাঁকে। ফলে ঋতব্রতর ফের রাজ্যসভায় যাওয়ার শিকে ছেড়ে কিনা সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
ফাঁকা হওয়া বাংলার বাকি চার আসনে তৃণমূল সাংসদরাই রয়েছেন। তবে তৃণমূলের অনেকের মতে, এঁদের মধ্যে এবার দিদি কাউকে কাউকে টিকিট নাও দিতে পারেন। তার মধ্যে অন্যতম অ্যালকেমিস্টের মালিক কেডি সিং। তৃণমূল কী কী বদল করে সেদিকেও চোখ রয়েছে পর্যবেক্ষকদের।
সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেও বেশ কিছু হেভিওয়েট রাজ্যসভার সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরা এবং দিগ্বিজয় সিং। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগড়– কংগ্রেস শাসিত এই তিন রাজ্য থেকেও বেশ কিছু রাজ্যসভার আসন খালি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের মধ্যে দাবি উঠেছে, যেকোনও একটি রাজ্য থেকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠানো হোক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়াকে। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড প্রিয়ঙ্কাকে টিকিট দেয় কিনা বা প্রিয়ঙ্কা নিজে রাজি হন কিনা তাতেও আগ্রহ রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।