নারদ কাণ্ডে ধৃত ফিরহাদ-মদন-সুব্রত-শোভনদের জামিনে মুক্তি দিল আদালত, নৈতিক জয় বলল তৃণমূল

0
459

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নারদ মামলায় জামিন পেলেন চার হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ। এদিন সকালে রাজ্যের ২ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং দুই প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে তাঁদের ভার্চুয়াল শুনানি শুরু হয়। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত চেয়ে আবেদন জানায় আদালতে। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, এই চারজন অত্যন্ত প্রভাবশালী। ফলে সাক্ষ্যপ্রমান লুঠ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। শেষ পর্যন্ত জামিন মেলে চার হেভিওয়েটের।

সোমবার দুপুরে যখন নিজাম প্যালেসের বাইরে তৃণমূল সমর্থকরা তুমুল বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তখন টুইট করে দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লকডাউনের নিয়ম মেনে চলুন। আমাদের বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে।


আপাত দর্শনে সেই আস্থারই জয় হল। এদিন দুপুরে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুনানির পর নারদ মামলায় ধৃত দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং প্রাক্তন দুই মন্ত্রী মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জামিন দিলেন বিচারক।
নারদ কাণ্ডে এদিন পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। দুই মন্ত্রী, দুই প্রাক্তন মন্ত্রী ছাড়াও পুলিশ কর্তা এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে মূলত দুর্নীতি দমন আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃত পাঁচ জনকেই জেল হেফাজতে পাঠানোর আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বরং এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের আইনজীবিদের যুক্তিই মেনে নিয়েছেন বিচারক।


অভিযুক্তদের আইনজীবিদের গোড়া থেকেই বক্তব্য ছিল, বেআইনি ভাবে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেফতারের আগে বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি। তা ছাড়া তদন্ত শেষ করে চার্জশিট পেশ করা হয়ে গিয়েছে, তখন অভিযুক্তদের গ্রেফতারের প্রয়োজন কী?
জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবিরা তাঁদের সওয়ালে বলেছিলেন, ধৃতরা প্রভাবশালী। তাই তাঁদের বাইরে রাখলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। কিন্তু তাঁদের সেই বক্তব্য মেনে নেয়নি আদালত।

তবে আপাতত এই আইনি লড়াই শেষ হলেও রাজনৈতিক চাপানউতোর আপাতত চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, এ ব্যাপারে বিজেপি কিছুটা নিঃসঙ্গই। কারণ, অন্তত এই ঘটনায় প্রকারান্তরে তৃণমূলের পাশেই রয়েছে বাম,কংগ্রেসও। গ্রেফতারের প্রক্রিয়া, সময় নির্বাচনের নেপথ্যে পরিষ্কার রাজনীতি রয়েছে বলেই তাঁদের মত।

এদিকে, অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবীরা জানান, চার বছর আগের মামলায় হেফাজতে নিয়ে কী জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে? সিবিআই-এর যুক্তিতে অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে বলেও জানান তৃণমূলের আইনজীবী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়।

Previous articleপ্রায় ছ’ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেস ছাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleমানুষের মৃত্যুর থেকেও বাংলা দখল বিজেপি-র কাছে জরুরি:জামিন পেয়েই সরব ফিরহাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here