মনে আগুন ।। হারাধন চৌধুরী
ত্রিসীমানায় জল নেই এক ফোঁটা,
বৃষ্টির দেখা নেই বহু কাল,
মাইলের পর মাইল জঙ্গল রোদে তাপে,
ধরো,
ভাজা ভাজা হয়ে আছে।
এমনি সময়ে তো কোনও কোনও জঙ্গল সাক্ষাৎ পায় দাবানলের।
শুধু তো গাছপালা হয় না সাবাড়—
লকলকে লেলিহান শিখার তাড়া খেয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয় পশু পাখি দল।
এক ঘাটে জল খেতে পেলে বেঁচে যেত বাঘে বুনো মোষে উভয়ে;
পাখিদের উড়ে যাওয়া দেখে হতাশায় মরে হায়েনা হরিণ একসাথে।
সতর্ক বনবাসী বসতি রক্ষা করতে লাগোয়া গাছপালা কিছু কেটে ফেলে,
আগ্রাসীর থেকে তফাত গড়ে চওড়া,
যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।
বনের আগুনকে হয়তো বন্দি করা যায় এই ফন্দিমতো,
আগুন তো মনেও লাগে বিনা ফাগুনে!
মনের আগুনে বাঁধ দেওয়া যায় কী করে?
বন্দিশালাও-বা কোথায় গড়া যায় মনের দিকসীমায়?
মনপাখির ওড়াউড়ি টের পাই,
কোনও কোনও দিন আর ফিরে আসে না আমার মগডালে
মনপাখি একটাও!
পশু সত্যিই কি মন ছাড়া হয় মনের আগুনের ভয়ে?
তাহলে আগুনই লাগুক,
আমি চাই,
মাঝে মাঝে,
মনের কানায়।
অতঃপর এসো তুমি সেই ছাইগাদা সরিয়ে,
বুকে বয়ে শীতল মায়া ৷
~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~