দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: তবলিঘি জামাত সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের সন্দেহে ভারতে উদ্বাস্তু হয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নজর রাখার জন্য সব রাজ্যকে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই মুহূর্তে ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর অন্যতম বড় কারণ এই জামাতের জমায়েত। আর তাই সব রাজ্যকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সব রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলিতে গিয়ে ভাল করে পরীক্ষা করতে। কারও মধ্যে কোভিড ১৯ উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, “রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলিতে স্ক্রিনিং ও টেস্টিং করার। দরকার পড়লে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর পাওয়া গিয়েছে, তবলিঘি জামাত সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন ধর্মীয় জমায়েতে অংশ নিয়েছে রোহিঙ্গারা। তাই তাদের মধ্যেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে। সেইজন্যই রাজ্যগুলিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
সূত্রের খবর, কয়েকটি রাজ্যে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ক্যাম্পের উপর বেশি গুরুত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই ক্যাম্পগুলি হল হায়দরাবাদ, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, পঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর ও মেওয়াট। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, “হায়দরাবাদ, তেলেঙ্গানা ও মেওয়াটের ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা তবলিঘি জামাত সদস্যদের সঙ্গে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিল। তারপর তারা নিজামুদ্দিনের ওই বিল্ডিংয়েও যায় যেখানে জামাত সদস্যরা ছিল। শ্রম বিহার, শাহিনবাগের ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারাও তবলিঘি জামাতের এই জমায়েতে গিয়েছিল। তারা নিজেদের ক্যাম্পে ফিরে আসেনি।”
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত নিজামুদ্দিনের মসজিদে যোগ দেওয়া প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে চিহ্নিত করেছে সরকার। মোবাইল ফোন ও অন্যান্য তথ্য দিয়ে এই জমায়তকারীদের চিহ্নিত করার কাজ করে চলেছে ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “প্রথমে আমরা ১০ হাজার মোবাইল থেকে এই চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু সংখ্যাটা এখন কয়েক গুণ বেড়েছে। সব রাজ্যেই এই জমায়েতে যাওয়া মানুষের যোগ রয়েছে।”
কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে মায়ানমার থেকে আসা প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের তথ্য সরকারের কাছে নেই। তাই এই সময় যাতে এই ক্যাম্পগুলিতে কোভিড ১৯ সংক্রমণ না ছড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।