দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভোরবেলা ঠান্ডার আবেশ এখন বাংলার বুকে। সকাল থেকেই শিরশিরানি ভাব জাঁকিয়ে ঠান্ডার পূর্বাভাস দিচ্ছে। তবে কবে থেকে জাঁকিয়ে শীত পড়তে চলেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আবহাওয়ার ব্যাপক বদলের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
ধীরে ধীরেই বাংলায় মিলছে শীতের পরশ। আবহাওয়াবিদরা যদিও জানাচ্ছে শীত আসতে এখনও অনেকটাই দেরি। তবে আগামী সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। জানা যাচ্ছে, আগামী ১২ নভেম্বর থেকে বেশ খানিকটা পারদ পতন হতে চলেছে বাংলায়। কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও তিন থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে চলেছে তাপমাত্রার পারদ।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ থাকবে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে রোদের দেখা মিললেও বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকবে। তবে, গুমোট ভাব থেকে মুক্তি দেবে। সর্বাধিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৯৩ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ।
এ দিকে, সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ফলে কৃষিকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। তবে শীতের প্রাক্কালে, পুজোর ঠিক পর পর দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও।
উল্লেখ্য, হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী পাঁচ দিন দুই বঙ্গেই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে ১১ নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার পর্যন্ত মেঘলা আকাশ দেখা যাবে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র। কিন্তু, ১২ তারিখ থেকে ধীরে ধীরে পরিষ্কার হবে বাংলার আকাশ। ১২ তারিখের পর থেকে তাপমাত্রার বড় পারাপতন লক্ষ্য করা যাবে। উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা মূলত শুষ্কই থাকবে।আর তেমনভাবে বৃষ্টিপাতেরও কোনও সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলায় বৃষ্টিপাত ইতিমধ্যেই কমেছে। মনোরম আবহাওয়া উপভোগ করছেন পর্যটকরা।