দেশের সময়, কলকাতা : রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শনিবার আদালতকে জানিয়েছেন, তাঁর হৃদ্যন্ত্রের একটি ধমনীতে ৫০ শতাংশ ব্লকেজ রয়েছে। কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য যে মেডিক্যাল পরীক্ষাগুলি করানোর দরকার সেগুলি জেলে সম্ভব হচ্ছে না। শঙ্করের এই অভিযোগে আমল দেননি বিচারক।
উল্লেখ্য, এর আগেও জেলের বাইরে চিকিৎসা করাতে চেয়ে আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন শঙ্কর। বলেছিলেন, বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনে নিজের টাকা দিয়েই চিকিৎসা করাবেন তিনি। গত ৩ ফেব্রুয়ারি শঙ্করের আইনজীবী আদালতে এই আবেদন করলেও তা গ্রাহ্য হয়নি। শনিবারও হল না।
এদিন বিচারককে শঙ্কর বলেন, ‘‘আমার কিডনির সমস্যা রয়েছে, হার্টেও ৫০ শতাংশ ব্লক রয়েছে। অথচ যে টেস্টগুলো করানোর দরকার সেগুলো জেলে হচ্ছে না।’’
শঙ্করের আর্জি শুনে বিচারক বলেন, ‘‘আপনার সমস্যা আগে জেলের চিকিৎসককে বলুন।’’ বিচারক একই সঙ্গে জানান, ‘‘জেলের চিকিৎসককে জানিয়েও যদি পর্যাপ্ত চিকিৎসা না হয় তখন আমাকে বলবেন।’’
প্রসঙ্গত, শনিবার রেশন মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের সদ্য দফতর হারানো মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শুনানির পাশাপাশি তাঁর ‘সহযোগী’ শঙ্কর আঢ্যের মামলারও শুনানি ছিল। কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজির ছিলেন শঙ্কর নিজেই। চলতি মাসের প্রথমে তিনি চিঠি লিখে আদালতকে ইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। শঙ্কর বলেছিলেন, ইডি তাঁকে ভয় দেখিয়ে বয়ান লিখিয়ে নিয়েছে, যার মধ্যে কিছু তিনি প্রত্যাহার করতে চান। অন্য দিকে, ইডি এই অভিযোগে আপত্তি জানিয়েছিল। শনিবার এই মামলাটিরই শুনানি ছিল আদালতে। শঙ্কর সেখানে জামিন চাননি। তবে জেলে তাঁর চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগ করেছেন।
গত ৫ জানুয়ারি গভীর রাতে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এরপর শংকর ও তাঁর পরিজনদের নামে ১৯টি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যার মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।