দেশের সময় : কিছুদিন আগেও মোহনবাগানকে ঠিক মোহনবাগানের মতো লাগছিল না। গত বারের চ্যাম্পিয়ন। বছর শেষে হারের হ্যাটট্রিক, কলিঙ্গ সুপার কাপে গ্রুপ পর্বেই হার। হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোতেই নজর ছিল। আন্তোনিও লোপেজ হাবাস দায়িত্ব নিতেই মেজাজে ফিরতে থাকে মোহনবাগান। ডার্বিতে ড্রয়ের পর হায়দরাবাদকে হারিয়ে জয়ে ফেরা। এরপর গোয়ার মাঠে অনবদ্য জয়। ঘরের মাঠে আজ নর্থ ইস্টের বিরুদ্ধে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান। কিন্তু হাবাসের টিমের মন্ত্র যে, একটা গোল খেলে আরও বেশি করে দেব! পিছিয়ে পড়েও নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে ৪-২ ব্যবধানে জয় মোহনবাগানের। 

আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের হাতে পড়ে বদলে গিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। সুপার কাপে ব্যর্থ হলেও আইএসএলে ফের চেনা মেজাজে ফিরেছে সবুজ মেরুন দল।

শনিবার যুবভারতীতে ঘরের মাঠে তারা বিপক্ষ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে। যে দলটি গত ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছে, সেই দলটিকে বেদম করে দিয়েছেন বাগানের ফরোয়ার্ডরা। মোহনবাগানের পক্ষে ফল ৪-২।

এদিন খেলা দারুণ জমে উঠেছিল। দর্শকরা মাঠে আসেন গোল দেখতে। ম্যাচের ৬০ মিনিটের মধ্যে ছ’টি গোল হয়েছে, তার মধ্যে বাগানের চারটি ও নর্থ ইস্টের দুটি গোল। মোহনবাগানের চার গোল হয়েছে মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে।

ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল নর্থ ইস্ট। রেফারি কী কারণে পেনাল্টি দিলেন, তিনি নিজেই জানেন। ডিফেন্ডার দীপেন্দু বল ক্লিয়ারেন্স করতে গেলেন, আর পেনাল্টির বাঁশি দিলে তা থেকে গোল করেন টমি জুরিচ। ওই একটা গোলই বাগানের ফুটবলারদের জেদ বাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরে সবুজ মেরুন দলের হয়ে সমতা ফেরানোর গোলটি করেন লিস্টন কোলাসো। তারপর বিরতির আগেই ইনজুরি টাইমে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল জেসন কামিন্সের।

বাগানের পক্ষে বাকি দুটি গোল দেন দিমিত্রি পেত্রাতোস (৫৩ মিনিট) ও সাহাল আবদুল সামাদ (৫৭ মিনিট)। চারটি গোলের ক্ষেত্রেই অবদান বলা চলে জনি কাউকোর। কেন কী কারণে কোচ হাবাস মাঝমাঠে হুগো বুমোসের বদলে কাউকোর ওপর ভরসা রেখেছিলেন, তা সমর্থকরা বুঝতে পেরেছেন। তিনি যেন রিয়ালের লুকা মদরিচ। যেভাবে বুটের ডগা দিয়ে পাস দেন লুকা, তেমনই যেন কাউকো গোল করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে। গোল না করলেও ম্যাচের সেরা কাউকো। শনিবার যুবভারতীতে ছবিগুলি তুলেছেন সুবীর মজুমদার ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here