দেশের সময়,কলকাতা: শক্তি হারাল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। আপাতত সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে মধ্য উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে রয়েছে। আগামী ৬ ঘণ্টায় আরও শক্তি কমবে এবং সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় শুধুমাত্র সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসাবে অবস্থান করবে ঘূর্ণিঝড়।
বুধবার সকাল থেকে ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপ তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আপাতত উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। বেলার মধ্যেই সেটি গভীর নিম্নচাপে বদলে যাবে। তবে শক্তি হারালেও শেষ বেলায় দাপট দেখিয়ে যাবে বঙ্গোপসাগরের সাইক্লোন।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে বৃষ্টি বেশি হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
আজ বুধবার বুধবারও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ৭ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবারও দক্ষিণ বঙ্গের কিছু জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের দুটি জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বৃষ্টি হবে। বাকি ছ’টি জেলা–দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
ঘূর্ণিঝড়ের দাপট কমলে দিনের তাপমাত্রা কমবে কলকাতায়। মঙ্গলবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ ডিগ্রি বেশি। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২১ ডিগ্রির আশপাশে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার বাংলার সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
দক্ষিণবঙ্গের ১৫টি জেলা–উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের আটটি জেলায়–দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বৃষ্টি হবে।
শুক্রবার থেকে বৃষ্টি কমবে। তাপমাত্রা নামবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের রাতের তাপমাত্রার তেমন হেরফের হবে না। কিন্তু এরপর থেকে ঠান্ডা পড়বে রাজ্যে। শীত বেশ ভালভাবেই টের পাবে শহরবাসী।
‘মিগজাউম’ দুর্বল হলেও বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে। এছাড়া ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকা, দক্ষিণ উপকূলবর্তী এবং দক্ষিণ ওড়িশাতে। মিগজাউমের প্রভাব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তামিলনাড়ুতেই বেশি পড়েছে। ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ে মারা গিয়েছেন সতেরো জন। সোমবারের পর বৃষ্টি কমলেও জলমগ্ন শহরের বহু এলাকা। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বুধ ও বৃহস্পতিবার রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।