দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে ফের শীতের নতুন স্পেল শুরু। এক রাতের মধ্যেই ছয় ডিগ্রি তাপমাত্রা নামলো। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এরকমই থাকবে আ)। শনিবার সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও রাজ্যে শীতের আমেজ থাকবে।
কনকনে ঠান্ডার আমেজ না থাকলেও, খানিকটা শীত শীত ভাবে খুশি বঙ্গবাসী। তবে এই শীত বেশিদিন স্থায়ী হবে না। বর্ষশেষে ও নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার ১৫ ডিগ্রির নীচে নেমেছে কলকাতার তাপমাত্রা। এদিন সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৪ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫২ থেকে ৯১ শতাংশ। আজ সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এইমুহুর্তে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে জেলাতেও আবার নতুন করে ঠান্ডা পড়েছে। বলা যেতে পারে, রাজ্যজুড়ে শীতের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হল। বইছে উত্তুরে হাওয়াও। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ১০-১১ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে। আপাতত শনিবার অবধি এমনই তাপমাত্রা থাকবে। বর্ষ শেষে শীতের স্পেল।
শনিবার, অর্থাৎ ৩১ তারিখ থেকে দু-তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়লেও শীতের কোনও ঘাটতি পড়বে না। তবে বর্ষশেষে বা নতুন বছরের শুরুতে জাঁকিয়ে শীত পড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। এর প্রভাবে রাজ্যে প্রবেশ করছে প্রচুর জলীয় বাষ্প। ফলে উত্তুরে হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। কিন্তু,নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে।
ফলে উত্তর পশ্চিম ভারতে ফের একবার উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই ঝঞ্ঝা। এর দরুন ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ বছরের শেষ দিন এবং প্রথম দিকে জাঁকিয়ে ঠান্ডা নাও পড়তে পারে। আবহাওয়াবিদদের মতে, নতুন বছরের শুরুতে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
এদিকে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঘন কুয়াশা থাকবে বিহার এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি সহ উত্তর-পশ্চিমের সমতলের রাজ্যগুলিতেও ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়। উত্তর ভারতের ওই রাজ্যগুলিতে আগামী কয়েকদিনে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।