দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কুয়াশার চাদরে ঘুম ভাঙছে কলকাতার । জাঁকিয়ে শীতের অপেক্ষায় বাঙালি। অথচ এর মধ্যেই ফের একবার নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। চলতি সপ্তাহেই নিম্নচাপ তৈরি হবে। এর জেরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কতটা প্রভাব পড়বে বঙ্গে? কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস?

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এই মুহূর্তে রাজ্যের উপর কোনও সিস্টেম নেই। আগামী পাঁচদিন মূলত শুষ্ক আবহাওয়াই থাকবে বাংলায়। দক্ষিণবঙ্গে আপাতত কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের কালিম্পং এবং দার্জিলিং এই দুই জেলায় বৃষ্টিপাত চলছে। এছাড়াও রাতের তাপমাত্রা আগামী পাঁচদিনে তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না। সকালের দিকে আকাশ মেঘলা থাকলেও বেলা গড়াতেই রোদের দেখা মিলবে। মূলত পরিষ্কারই থাকবে আকাশ।

দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর সন্নিহিত এলাকায় সাইক্লোনিক সার্কুলেশনের জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ায় বড় ভোলবদল৷ আইএমডি-র ওয়েদার আপডেট অনুযায়ি প্রায় ৪৫- ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বইবে ঝোড়ো হাওয়া৷

একাধিক জায়গায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা জারি রয়েছে৷ এছাড়াও দক্ষিণভারতের বেশিরভাগ এলাকায় হবে ইতঃস্তত বিক্ষিপ্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি৷

তামিলনাড়ু , পুদুচেরি, কেরল, করাইকল, মাহে, দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশে ১১ তারিখ থেকে আবহাওয়া এক ধাক্কায় ভীষণ খারাপ হয়ে যাবে৷ আজ ও কাল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বৃষ্টি হবে৷

এই সাইক্লোনিক সার্কুলেশনের মধ্যেই ফের একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে৷ ৯ তারিখ নাগাদ শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি এটি তৈরি হয়ে উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে এটি এগোতে পারে এমনটাই ওয়েদার আপডেটে জানিয়েছে আইএমডি৷

এদিকে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট, মুজফরাবাদ, হিমাচল প্রদেশের এক -দুটি স্থানে তুষারপাত হবে৷ কোথাও কোথাও হবে বৃষ্টি৷

এদিকে পঞ্জাব -হরিয়ানাতেও এক দু জায়গায় ইতঃস্তত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷

কলকাতায় আপাতত আর তেমন পারদ পতনের কোনও সম্ভাবনা নেই। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ৩১ থেকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৬ শতাংশ থাকলেও শুষ্ক আবহাওয়ার জেরে শীতের আমেজ বজায় থাকবে শহরে। ভোরের দিকে হালকা মেঘলা আকাশ থাকলেও বেলা গড়াতে তাপমাত্রা বাড়বে। নভেম্বরের আগামী সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী চারদিন রাতের তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোঠায় থাকবে। এই তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি বা তার নীচে নামলে শীত আরও বেশি অনুভূত হবে। তার জন্য ন্যূনতম আরও সাত থেকে দশদিনের অপেক্ষা করতে হবে। নতুন করে কোনও সিস্টেম তৈরী না হলে আপাতত শীতের পথে তেমন কোনও বাধা নেই বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

এখনও পর্যন্ত মার্কিন বেসরকারি আবহাওয়া গবেষণা সংস্থার ইঙ্গিত দেওয়া মানদৌসের কোনও ছবি ধরা পড়েনি স্যাটেলাইট চিত্রে। দক্ষিণ আন্দামান সাগরে আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখছে মৌসম ভবন। এখনও পর্যন্ত লঘুচাপ তৈরির মতো পরিস্থিতি হয়নি। আগামি ৭২ ঘন্টার মধ্যে এরকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয় কিনা, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছে IMD। এ রাজ্যে ই সাইক্লোনের কোনও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানা যাচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here