সোমবার ৮ এপ্রিল এক বিস্ময়কর সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকল বিশ্ববাসী। সোমবার তিন দেশ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে দেখা মিলল এই বিস্ময়কর সূর্যগ্রহণের। এই সূর্যগ্রহণকে ‘গ্রেট নর্থ আমেরিকান এক্লিপসও বলা হচ্ছে।
Take it all in.
— NASA (@NASA) April 8, 2024
We're getting our first views of the 2024 total solar #eclipse as its shadow makes landfall in Mazatlán, Mexico. pic.twitter.com/FdAACmQGkm
সোমবার অন্ধকার ধীরে ধীরে গাঢ় হল। চাঁদের ছায়ায় একটু একটু করে খণ্ড বিখণ্ড হতে শুরু করল সূর্য। মেক্সিকোর সৈকতে প্রথম ধরা পড়ল সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। ৪ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের গ্রহণ। নাসা জানিয়েছে এত দীর্ঘ ও বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ৮০০ বছরে দেখা যায়নি। গ্রহণের ভিডিও শেয়ার করেছে নাসা।
The total solar #eclipse is now sweeping across Indianapolis.
— NASA (@NASA) April 8, 2024
This is the first time in more than 800 years that the city is experiencing this celestial event! pic.twitter.com/jZuKx4nUAb
আমেরিকা ও টেক্সাসে (রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে ভারতীয় সময় অনুযায়ী) গ্রহণ শুরু হয়। কলাহোমা, আরকানাস, মিসৌরি, কেন্টাকি, ইন্ডিয়ানা, পেনসিলভানিয়া, নিউ ইয়র্ক থেকে দেখা গেছে পূর্ণগ্রাস। কলকাতার পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার রাত ৯ টা ১২ মিনিট ৩ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আর সোমবার (ইংরেজি মতে মঙ্গলবার) রাত ২ টো ২২ মিনিট ৩ সেকেন্ডে শেষ হয়েছে সূর্যগ্রহণ (ভারতীয় সময় অনুযায়ী)।
Oops I did it again 🤭 #TotalSolarEclipse pic.twitter.com/JXPe26qq3Q
— NASA Moon (@NASAMoon) April 8, 2024
নাসা জানিয়েছে, এই ধরনের গ্রহণ সচরাচর দেখা যায় না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সোমবারের গ্রহণের বিশেষত্ব হল এর স্থায়িত্ব। অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ধরে এই গ্রহণ স্থায়ী হয়েছে। টানা চার মিনিট চাঁদের ছায়ায় সম্পূর্ণ ঢেকে ছিল সূর্য। যা গত ৫০ বছরে কখনও কোনও গ্রহণেই হয়নি। গ্রহণের সময়ে ওই চার মিনিট ধরে সূর্যের বাহ্যিক স্তর করোনার আভা স্পষ্ট দেখা গেছে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কানাডা থেকেও গ্রহণ দেখা গেছে। কানাডার দক্ষিণ ওন্টারিয়ো, কিউবেক, প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ডে গ্রহণ দেখা গেছে।
NASA থেকে লাইভ লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ভার্চুয়ালি দেখানো হয় এই সূর্যগ্রহণ। মহাজাগতিক এই ঘটনাকে নিয়ে উত্তর আমেরিকার নিউফাউন্ডল্যান্ড, ডালাস, ফিলাডেলফিয়া সহ একাধিক শহরে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। তৈরি ছিলেন বিজ্ঞানীরাও। এদিন রেকর্ড করা হয় নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে। পৃথিবীর দিকে ৫ ডিগ্রি কোণে হেলে থেকে। তাই পূর্ণগ্রাস, আংশিক গ্রাস ও বলয়গ্রাস মিলিয়ে বছরে ৫টির বেশি সূর্যগ্রহণ হওয়া সম্ভব নয়। এ বছর এপ্রিলে সূর্যের প্রথম পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হল। তবে পরবর্তী ১৫০ বছরে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে পারে পৃথিবী। হিসেব কষে দেখা গিয়েছে, ২১৮৬ সালের ১৬ জুলাই ফ্রেঞ্চ গিনি উপকূল থেকে আটলান্টিক সাগরে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ দেখা যেতে পারে, যা ৭ মিনিট ২৯ সেকেন্ড স্থায়ী হবে।