দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ১২ বছর বয়সেকলকাতার হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দিল নাবালিকা! তবে এই জন্ম আর পাঁচটা জন্মের মতো আনন্দের নয়, সে কথা বলাই বাহুল্য। অভিযোগ, যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে মেয়েটি , তার জেরেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। কিন্তু যখন জানাজানি হয়, তখন গর্ভপাতের আর সময় ছিল না। তাই শেষমেশ সন্তানের প্রসব করানোরই সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার লেডি ডাফরিন ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে এক শিশুপুত্রের জন্ম দিয়েছে সে।

জানা গেছে, মেয়েটির মা দিল্লিতে লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। বাবা কাজ করতেন গ্রিলের কারখানায়। তাঁদের সঙ্গেই থাকত মেয়ে। সে সারাদিন বাড়িতে একাই থাকত।

সেই সময়েই তার প্রতিবেশী, মহেশ স‌্যামুয়েল নামের এক ব্যবসায়ী নিয়মিত যৌন নির্যাতন চালায় নাবালিকার উপর, এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে পরিবারের তরফে। দাবি, মেয়েটিকে ভয় দেখানো হতো, কাউকে কিছু বললে খুব খারাপ হবে। ভয়ে-আতঙ্কে এতদিন ধরে চুপ করে ছিল নাবালিকা।

কিন্তু কয়েক দিন আগে দিল্লি থেকে কলকাতায় দিদিমার বাড়ি আসার পরে পেটে ব্যথা হয় তার। টুকটাক চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায় আল্ট্রোসোনোগ্রাফি করে দেখা যায়, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বারো বছরের মেয়েটি! দেখে তো বিশ্বাসই করতে পারেন না কেউ। তার পরে মেয়েটির সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলার পরে জানা যায়, পাশের বাড়ির লোকটি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তার সঙ্গে।

দিল্লির ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মেয়েটির পরিবারের তরফে। ‘নাবালিকা এবং সিঙ্গল মাদার’ হিসেবে যা যা করণীয়, হাসপাতালের তরফে সেই আইন মেনেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

ততদিনে ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে প্রেগন্যান্সির। তাই আর গর্ভপাত করানো সম্ভব হয়নি। ঠিক হয়, সন্তানটির জন্ম দেওয়া হবে। গতকাল সেই প্রসব সম্পন্ন হয়েছে। দেড় কেজি ওজন নিয়ে সময়ের আগেই জন্মেছে বাচ্চাটি। তবে মা-সন্তান দু’জনেই সুস্থ আছে।

তবে পরিবারের দাবি একটাই, যত দ্রুত সম্ভব বিচার চাই। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে দিল্লির ওই ব্যবসায়ীকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here