দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ হাইকোর্টের নির্দেশে ইডি ও সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে রাজ্যে। কিন্তু কী উঠে এল সেই তদন্তে? কেলেঙ্কারির বহর ঠিক কতটা বড়? এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতে চার্জশিট পেশ করার পর সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, সাদা খাতা জমা দিয়েই চাকরি পেয়েছিলেন অনেকে। উত্তরপত্রে লেখা ছিল শুধুমাত্র নাম, ঠিকানা। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত রঞ্জন ওরফে চন্দনের নামও রয়েছে এই চার্জশিটে।

২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের ওপর ভিত্তি করে একটি এফআইআর হয়েছিল। সেখানেই ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ। ঘুষ দিয়ে প্রাথমিকে নিয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মোট ১৬ হাজার ৫০০ টি শূন্যপদে নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই পরীক্ষায় চরম বেনিয়ম হয়। কেউ কেউ সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন, অর্থাৎ কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি। আবার কেউ কেউ পরীক্ষা দিলেও পাশ করতে পারেননি। ইডির দাবি, সেই সব অযোগ্য প্রার্থীদের টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়। বাদ পড়ে যোগ্য প্রার্থীদের নাম। ওই ভাবে চাকরি দেওয়ার জন্য আলাদা করে প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ।

শুধু তাই নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই প্রশ্নপত্রে বিশেষ কারসাজি করা হয়েছিল বলেও চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের ছাপ স্পষ্ট। এমন অনেকেই যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই চাকরি করছেন বলে ১৭২ পাতার চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই চার্জশিটে নাম রয়েছে বাগদার চন্দন মণ্ডলেরও। প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস প্রথম এই নাম সামনে এনেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বাসিন্দা ‘রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডল বিপুল টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন অনেককে। চার্জশিটেও সে কথা উল্লেখ করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, এই চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে নিয়োগকারী সংস্থার আধিকারিকদের যোগ ছিল। আর তিনি নাকি বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে প্রাথমিকে চাকরি দিতেন অনেককে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here