দেশের সময় , কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাতদিনের ব্যবধানে দু’বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হলেন তৃণমূলের বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর তথা বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী।
গত বৃহস্পতিবারের পর এদিন বেলা ১১টা নাগাদ ফের নিজাম প্যালেসে আসেন দেবরাজ। হাতে ছিল বেশ কিছু ডকুমেন্ট। প্রায় ৮ ঘণ্টা পর বাইরে আসেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে দেবরাজের স্পষ্ট বক্তব্য, “২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যে সময় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ করা হচ্ছে, ওই সময় দলে আমার কাউকে চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। ফলে এই ধরনের অভিযোগ বা প্রশ্ন অবান্তর।”
একই সঙ্গে তিনি জানান, “ওনারা কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছেন। এক বারের জায়গায় একশো বার ডাকলেও আসব। একজন নাগরিকের কাজ তদন্তে সহযোগিতা করা। আমি সেটাই করছি। তবে গতবারে ২৪ঘণ্টারও কম সময়ে নোটিস করা হয়েছিল। তবু আমি এসেছিলাম।”
সূত্রের খবর, এদিন দেবরাজের কাছে ব্যক্তিগত কিছু তথ্য এবং নথি চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেগুলি জমা দিতেই নিজামে গিয়েছিলেন দেবরাজ। দেবরাজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট দেখে কিছু প্রশ্ন ছিল তদন্তকারীদের। দেবরাজের দাবি, “এ ব্যাপারে তদন্তকারীদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়েছি।”
প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত নভেম্বর মাসে দেবরাজের দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। দেবরাজ চক্রবর্তীর স্ত্রী হলেন রাজারহাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা কীর্তন শিল্পী অদিতি মুন্সি। দমদম পার্কের বালাজি অ্যাপার্টমেন্টের ফার্স্ট ফ্লোরে তাঁর একটি গানের স্কুল ও স্টুডিও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানেও তল্লাশির জন্য গিয়েছিল সিবিআই।