অরিত্র ঘোষ দস্তিদার ২০ই জুন,রানাঘাট: ‘রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম, ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম’।
মঙ্গলবার পুরীর জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার পাশাপাশি সারাদেশ জুড়ে মহা ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘ইস্কন’-এর আয়োজনে রথযাত্রা উৎসব পালিত হচ্ছে।সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে মঙ্গলবার নদীয়ার বীরনগরের জয়পুর গ্রামে ‘রথযাত্রা উৎসব’-এর আয়োজন করেছিল ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’। আজ জয়পুর গ্রামের ‘খামারিয়া কালীমন্দির’ থেকে রথযাত্রা শুরু হয়।
এদিন সকাল থেকেই জগন্নাথ দেবের পূজার্চনা শুরু হয়।নিষ্ঠা সহকারে সমস্ত পূজার্চনা সম্পন্ন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মাধবানন্দ দাস মহারাজ। তিনি রথযাত্রার গুরুত্ব গ্রামবাসীদের সামনে ব্যাখ্যা করেন।
এদিন পূজার্চনার পর ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’-এর পক্ষ থেকে গাছ বিতরণ করা হয় গ্রামবাসীদের মধ্যে। ১০০ টি হিমসাগর, ৫০ টি আম্রপালি ও ১০ টি লেবুর চারা মিলিয়ে মোট ১৬০ টি গাছ বিতরণ করা হয়। প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে, এই বার্তা গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্য জানান ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’-এর সদস্য শ্রী মিলন খামারিয়া।
গাছ পেয়ে গ্রামবাসীরা ভীষণ খুশী হন। গ্রামবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায় এই রথযাত্রায়। তারা রথের দড়ি টেনে নিয়ে যান আনন্দের সাথে।
কল্যাণ মন্দিরের অন্যতম আয়োজক মিলন খামারিয়া বলেন, “রথযাত্রা মানেই জীবনের পথে পূর্ণতার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। এটি একটি সৎ-পথ পরিক্রমা। অধর্মকে পরাজিত করে ধর্মের পথে চলা। নীতিবান এবং পুণ্যবান মানুষেরাই রথযাত্রায় সামিল হন।”
এদিন হরিনাম সংকীর্তন করে গ্রামবাসীরা রথকে টেনে নিয়ে যান পাশের গ্রামে। নতুনপাড়া গ্রামের কালীমন্দিরে রাখা হয় প্রভু শ্রী জগন্নাথ দেবের রথকে।
এরপর গ্রামবাসীরা সবাই খিচুড়ি প্রসাদ নিষ্ঠাভরে গ্রহণ করেন। মহা ধুমধামের সঙ্গে রথযাত্রা শুরু হল দেশের মাটি কল্যাণ মন্দিরের তরফে।