অর্পিতা বনিক, বনগাঁ: পুজোর বাকি আর মাত্র সপ্তাদুয়েক।কিন্তু নিম্নচাপের বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণই নেই। পুজোর বাজারের চিন্তা বাড়িয়ে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর নিম্নচাপ অক্ষরেখা যেভাবে ছড়িয়েছে, তার প্রভাবেই এই বৃষ্টি ৷ কলকাতা সহ জেলা শহরগুলিতেও দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় শহরের বেশ কিছু বসতি এলাকাও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। অনেকেই পুজোর কেনাকাটা করতে বেড়িয়ে ছিলেন। অকাল বর্ষণই সমস্ত ভেস্তে দিয়েছে।
এভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে পুজোর বাজারের কী হবে তা নিয়েই আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা। পুজোর আগে ভিড় বেশি হবে বলে ব্যবসায়ীদের আশা। আরও বৃষ্টি সেই আশায় জল ঢালবে কিনা তা ভেবেই শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা।
গত রবিবার থেকে একটানা বৃষ্টিতে বনগাঁতেও পুজোর বাজার পণ্ড হয়ে যায়।
বনগাঁর আদি মোহিনী মোহনকাঞ্জিলাল শোরুমের কর্ণধার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, গত দু’বছর করোনা সময়কাল কাটিয়ে এবছর পুজোর আনন্দে মেতে উঠতে চায় মানুষ,তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে কিন্তু এই অতি বৃষ্টি কাটিয়ে ফের শরৎ-এর ঝক ঝকে আকাশের নিচে কাশ ফুল দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন তারাও৷ বৃষ্টিতে কেউ ছাতা মাথায় দিয়ে কেউবা টোটোয় চেপে পুজোর বাজার সারছেন ৷ আশা করা যায় বৃষ্টি থামলেই বাজারে ভিড় উপচে পড়বে৷ দেখুন ভিডিও :
পুজোর একেবারে দোরগোড়ায় বৃষ্টি হওয়ায় মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদেরও । কুমোরটুলিতে এই সময় চলে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি । কাঠামো রং করার সময় এখন । কিন্তু এত বৃষ্টিতে রং শুকনো করতে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা । শিল্পরা জানাছেন, “প্লাস্টিক দিয়ে সব প্রতিমা ঢাকা রয়েছে। কিন্তু যদি প্লাস্টিক ফুটো থাকে তখন মাটি গলে যাওয়ার একটা ভয় থাকছে । এখন রোদের প্রয়োজন । সেটা না-থাকায় সমস্যা হচ্ছে৷ সময় মতো প্রতিমা মন্ডপে পৌঁছে দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে৷
এই বর্ষণই পণ্ড করে দিচ্ছে পুজো প্রস্তুতিও ৷ ফলে একদিকে যেমন পুজো শপিংয়ে বাধা পড়েছে, তেমনই কপালে চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ী ও কুমোরপাড়ার শিল্পীদেরও ৷ সারা বছর ধরে পুজোর এই কয়েকটি দিনের জন্য অপেক্ষার প্রহর গোনা আনন্দ প্রিয় বাঙালিকে বলতে শোনা যাচ্ছে এটা নাকি ‘অসুর নিম্নচাপ ‘!