লোকসভায় অনাস্থা বিতর্কে জবাবি বক্তৃতা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷ তাঁর সেই বক্তৃতার লাইভ হাইলাইটস—লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের তৃতীয়দিনের আলোচনা। বৃহস্পতিবারই হবে ভোটাভুটি। তাঁর আগে বিকেল ৪টে নাগাদ বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই লোকসভা কক্ষ থেকে ওয়াক আউট বিরোধী সাংসদদের।
মোদীর বক্তৃতা চলাকালীন লোকসভায় মণিপুর স্লোগান বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র। মোদী বললেন, আপনারা স্লোগান দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন।
বিরোধী জোট নিয়ে আবার কটাক্ষ মোদীর। বললেন, এক এক রাজ্যে এরা নিজেরাই একে অপরের বিরোধী। অথচ কেন্দ্রে এরাই একে অপরের হাত ধরে কেন্দ্রের বিরোধিতা করছে। বিরোধী ঐক্যকে কটাক্ষ করে মোদী বললেন, এই জোটের সবাই প্রধানমন্ত্রী হতে চান।
বিরোধী জোটের নতুন নামকরণ নিয়ে কটাক্ষ মোদীর। বললেন, নতুন নাম রাখতে গিয়ে ভারতের টুকরো টুকরো করে দিয়েছেন বিরোধীরা। মোদীর ব্যাখ্যা, বিরোধীদের নতুন নামের প্রতিটি অক্ষরের পরে একটি করে ডট বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আই ডট এন ডট ডি ডট আই ডট এ (I.N.D.I.A)। এমনকি, এর মধ্যে এনডিএ-র এন, ডি আর এ অক্ষরটিও চুরি করেছে বিরোধীরা।
বেঙ্গালুরুতে UPA-র শেষকৃত্য করেছেন বিরোধীরা। নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে গেলে তাঁদের NDA দরকার। INDIA-র অর্থ জানেন? NDA-র আগে আর পড়ে দু’টো I বসিয়ে নিয়েছে। প্রথম I-এর অর্থ ২৬ দলের অহংকার আর দ্বিতীয় I-এর অর্থ একটি পরিবারের অহংকার। INDIA-কেও ভেঙে ফেলেছেন। I.N.D.I.A।
৫০ মিনিটে মণিপুর নিয়ে একটি শব্দও নয়! মোদীর বক্তব্যের মাঝেই টুইট তৃণমূলের।
When will you speak on #Manipur PM @narendramodi? pic.twitter.com/r8EM91uS7o
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) August 10, 2023
উই ওয়ান্ট মণিপুর’। মোদীর বক্তব্যের মাঝেই স্লোগানিং বিরোধীদের। থমকে যান প্রধানমন্ত্রী। সকলকে চুপ করানোর চেষ্টা করেন স্পিকার ওম বিড়লা।
‘কংগ্রেসের প্রতি দেশের মানুষের নো কনফিডেন্স। কংগ্রেস এতই অহংকারী, দেশের মাটিতে থাকেন না।’ মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।
২০২৮ সালে আপনারা যখন ফের একবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসবেন, তখন দেশ বিশ্বের তৃতীয় শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক দেশ হবে। ফের ভবিষ্যদ্বাণী প্রধানমন্ত্রীর।
‘উই ওয়ান্ট মণিপুর’। মোদীর বক্তব্যের মাঝেই স্লোগানিং বিরোধীদের। থমকে যান প্রধানমন্ত্রী। সকলকে চুপ করানোর চেষ্টা করেন স্পিকার ওম বিড়লা।
‘কংগ্রেসের প্রতি দেশের মানুষের নো কনফিডেন্স। কংগ্রেস এতই অহংকারী, দেশের মাটিতে থাকেন না।’ মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।
২০২৮ সালে আপনারা যখন ফের একবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসবেন, তখন দেশ বিশ্বের তৃতীয় শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক দেশ হবে। ফের ভবিষ্যদ্বাণী প্রধানমন্ত্রীর।
আমি আজকে লোকসভায় একটা সিক্রেট বলতে চাই। এই বিরোধীরা যাদের বিরুদ্ধে গালিগালাজ করে, তাঁদের আদপে ভালোই হয়। এটা আপনাদের সিক্রেট বর। তিন উপায়ে তা আমি সিদ্ধ করছি। এঁরা বলেছিলেন, ব্যাঙ্কিং সেক্টর ডুবে দেশ বরবাদ হয়ে যাবে। গুজব রটানো হয়েছে। এত খারাপ চাইলেন তাঁরা। কিন্তু, আমাদের পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কের প্রফিট আরও দ্বিগুণ হয়ে গে। দ্বিতীয়ত, সামরিক বিমান নির্মাণকারী সংস্থা HAL নিয়েও অনেক কটূ কথা বলেছিল। বলা হয়েছিল, ভারতের প্রতিরক্ষার বাজার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। HAL কর্মীদের উস্কানো হয়েছিল। আর দেখুন আজ HAL সাফল্যের চূড়ায়। সর্বাধিক বেশি রেভিনিউ হয়েছে চলতি বছরই। তৃতীয়ত, LIC নিয়ে বলা হয়েছিল, গরিবদের টাকা ডুবে গেল। কল্পনামাফিক যা খুশি বলা হয়েছিল। তবে বর্তমানে LIC রাতারাতি মজবুত হয়েছে। ফলে আমাদের গণতন্ত্রকে, সরকারকে যেভাবে গালিগালাজ করছে, আমার বিশ্বাস আমরা আরও মজবুত হব। লোকসভায় মন্তব্য নরেন্দ্র মোদীর
গত তিনদিন ধরে বিরোধী সাংসদরা আমায় নাগাড়ে গালিগালাজ করে গিয়েছেন। অভিধান হাঁতড়ে নানা অপশব্দ খুঁজে নিয়ে এসে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন। ওঁদের একটাই বক্তব্য, মোদী তোমার কবর খুঁড়ব। তবে তোমাদের এই গালিগুলোই আমার কাছে টনিকের মতো। মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।
কালো টিকা পরে আপনারা সংসদে এসেছেন। তা একপ্রকার আমাদের সরকারের জন্য মঙ্গলকামনাই হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অবিশ্বাস আর অহংকার বিরোধীদের শিরায় শিরায়। তাই আমাদের সরকারের প্রতি দেশের মানুষের বিশ্বাসকে দেখতে পারেন না: প্রধানমন্ত্রী মোদী।
নিরাশার বদলে বিরোধীরা দেশকে কিছুই দিতে পারেনি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অধীর চৌধুরীকে বরাবর কংগ্রেস সাইডলাইনে পাঠিয়ে দেয়। কলকাতা থেকে কি কোনও ফোন এসেছিল? ওঁর প্রতি আমার সমবেদনা রইল। মন্তব্য মোদীর।
নাম না করে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করলেন নরেন্দ্র মোদীর। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁকে বক্তব্য রাখার জন্য স্পিকার সময় দিয়েছেন বলে মন্তব্য মোদী।
ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ নরেন্দ্র মোদীর। তাঁর কথায়, ‘আপনাদের আমি পাঁচবছর সময় দিলাম। তাও আপনারা প্রস্তুতি নিতে পারলেন না?’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, ‘এতগুলি বিল আনা হয়েছে রাজ্যসভা এবং লোকসভায়। সবকটি জনহিতকর। কিন্তু, বিরোধীদের তাতে কোনও রুচি নেই। ওঁরা কেবল রাজনীতি করে গেলেন।’
সবটাই ভগবানের আশীর্বাদ। আমার মনে হয় ভগবানের আশীর্বাদ আছে বলেই বিরোধী পক্ষ আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। ২০১৮ সালেও তাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব এনেছিলেন। কিন্তু, কী হয়েছিল সবাই দেখেছিলেন। সেবার জনতাই তাঁদের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে দিয়েছিলেন। এবারও ভগবানের আশীর্বাদে তাই হবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও তাই হবে। অর্থাৎ বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব আমাদের জন্য শুভ।’ লোকসভায় মন্তব্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।