মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে বিশেষ নৈশভোজে যোগ দেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদী। সেই আমন্ত্রণ পেয়ে মঙ্গলবার দিল্লি যান অভিষেক। এদিনই সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে নৈশভোজে অভিষেক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
অপারেশন সিঁদুর ও সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পদক্ষেপের কথা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে এই সাতটি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিনিধি দলগুলির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী।
অপারেশন সিঁদুরের ব্যাখ্যা দিতে সাতটি দলে ভাগ হয়ে ৫৯ জন নেতা ও প্রাক্তন কূটনীতিক ৩৩টি দেশ সফর করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ বিভিন্ন দেশের সংসদ, নীতিনির্ধারক ও প্রশাসনের কাছে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরেন তাঁরা। দলের নেতৃত্বে ছিলেন— কংগ্রেস নেতা শশী তারুর , বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ, ডিএমকের কানিমোঝি, শিবসেনার শ্রীকান্ত শিন্ডে, জেডিইউ-র সঞ্জয় ঝা, এনসিপি-র সুপ্রিয়া সুলে প্রমুখ।
ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, পাকিস্তান বহু দিন ধরেই সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আর এবার ভারত এই সমস্যার বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে। একইসঙ্গে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা এফএটিএফ-এর ‘গ্রে লিস্ট’-এ রাখার দাবিও তোলা হয়।
https://x.com/AITCofficial/status/1932481016020480048?t=5rPgXWEjnYsI9-tH75dj9A&s=19
কিন্তু মঙ্গলবার সেই নৈশভোজ পর্বকে ‘সময় নষ্ট’ বলে বর্ণনা করেছে তৃণমূল। দলের সর্বোচ্চ সূত্রের খবর, বহুদলীয় প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টেবিল পর্যন্তও আসেননি প্রধানমন্ত্রী।
তৃণমূলের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র জানাচ্ছে, নৈশভোজে খাওয়া এবং হাসি-মস্করা ছাড়া গঠনমূলক কিছুই হয়নি।
বস্তুত, পুরো বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার বিরক্তিও প্রকাশ করে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের শীর্ষ পর্যায়ের ওই সূত্রের তরফে। দাবি করা হয়েছে, এক পেয়ালা চা ছাড়া অভিষেক কোনও খাদ্য বা পানীয় স্পর্শ করেননি। সাতটি প্রতিনিধিদলের জন্য মোদীর ৭ লোককল্যাণ মার্গের বাসভবনের আয়োজিত নৈশভোজে সাতটি টেবিলের ব্যবস্থা ছিল। নৈশভোজের পরে ছিল ছবি তোলার ব্যবস্থাও।