দেশের সময়, পেট্রাপোল: সোমবার দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে ১৪৫ তম ব্যাটালিয়ন আইসিপি পেট্রাপোলের মহিলা জওয়ানরা ৭৮১.৮৬ গ্রাম ওজনের সোনার পেস্ট সহ একজন মহিলা পাচারকারীকে আটক করে।
যা পাচারকারী তার শরীরের গোপন জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিল। বাংলাদেশ থেকে ভারতে এই সোনা পাচার করার চেষ্টা করছিল সে। উদ্ধার করা সোনার আনুমানিক মূল্য ৪৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৭৬ টাকা।

আইসিপি পেট্রাপোলের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণরত যাত্রীদের রুটিন চেকিংয়ের সময়, বিএসএফ মহিলা রক্ষীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী একজন সন্দেহভাজন মহিলা যাত্রীকে থামান। মহিলা জওয়ানরা হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর (এইচএইচএমডি) দিয়ে তাকে তল্লাশি করলে মেশিনটি ওই মহিলার শরীরে ধাতব পদার্থের উপস্থিতি নির্দেশ করে। এর পরে, মহিলা জওয়ান যাত্রীকে তল্লাশি রুমে নিয়ে যান পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশির জন্য। তল্লাশির সময় মহিলা যাত্রীর গোপনাঙ্গে ইনসুলেশন টেপ দিয়ে মোড়ানো সোনার পেস্টের একটি ড্রাম আকারের টুকরো পাওয়া যায়।

এছাড়াও, গভীরভাবে তল্লাশিকালে মহিলা যাত্রীর ব্যাগে আরও ২ টি ড্রাম আকারের সোনার পেস্ট পাওয়া যায়। জওয়ানরা মহিলা যাত্রীকে তার সোনা-সহ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসেন।

জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে পরিচয় দেয়। মহিলা যাত্রী জানায়, সে মুম্বইয়ের বাসিন্দা৷ দুবাই ও কাতারে কাপড়ের ব্যবসা করে। বর্তমানে বাংলাদেশে তার ব্যবসা চলছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার সময় বেনাপোলের বাসিন্দা আরশাদ নামে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে।

আরশাদ ওই নারীকে ইনসুলেশন টেপে মোড়ানো ড্রামের আকারে তিনটি সোনার পেস্ট নিতে বলে। এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য সে মহিলাকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। মহিলা এই কাজে রাজি হয়ে সোনা লুকিয়ে রাখে। ভারতে আসার পর পেট্রাপোলের এক অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে এই সোনা তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতে পৌঁছে বিএসএফ তল্লাশির জন্য জওয়ানরা সোনাটি শনাক্ত করে বাজেয়াপ্ত করে।

আটক সোনা পাচারকারী মহিলাকে জব্দকৃত স্বর্ণ-সহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাস্টম অফিস পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here