দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ইতিহাস এভাবেই রচনা হয়। এইভাবেই নিভৃতে তৈরি হয় রূপকথা। টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতে ভারতকে গর্বিত করেছিলেন নীরজ চোপড়া । সোনার পরে এবার জুরিখে ডায়মন্ড লিগ ফাইনালে বর্শায় হীরে বিঁধলেন দেশের জ্যাভলিনের রোলমডেল।

জুরিখে ডায়মন্ড লিগ ফাইনালের মোট ছয়টি রাউন্ডের প্রথমটিতে নীরজ ফাউল থ্রো করেছিলেন। বাকি পাঁচটিতে তিনি সোনা ফলিয়েছেন। হয়তো তাঁর স্বপ্নের লক্ষ্যমাত্রা ৯০ মিটার স্পর্শ করতে পারেননি। কিন্তু তিনি ৮৮.৪৪ মিটার ছুঁড়েছেন জ্যাভলিন। তাতেই বাকিদের সঙ্গে ফারাক গড়ে দিয়েছেন।

নীরজের দ্বিতীয় রাউন্ডের পারফরম্যান্সই তাঁকে ফের সেরার স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। নীরজ দ্বিতীয় রাউন্ডেই ৮৮.৮৮ মিটার ছুঁড়েছিলেন। তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ রাউন্ডে ছোড়েন যথাক্রমে ৮৮ মিটার, ৮৬.১১ মিটার, ৮৭ মিটার ও ৮৩.৬ মিটার।

নীরজ প্রথম ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ার হিসেবে এই নজির দেখালেন। তিনি অলিম্পিক, কমনওয়েলথ, এশিয়ান গেমস, জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপও জিতেছেন। এরকম এক খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ ভারতের কাছে কোহিনূরের সমান।


ছ’জন প্রতিযোগীর মধ্যে নীরজ ছাড়াও ছিলেন চেকের জ্যাকুব ভাদলেচ, জার্মানির জুলিয়ান ওয়েবার, লাটভিয়ার প্য়াট্রিক্স গালিউম, পর্তুগালের লিয়েন্দ্রো রামো এবং আমেরিকার কার্টিস থম্পসন। দোহা, স্টকহোম, সিলেসিয়া ও লুসানে ডায়মন্ড লিগের পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর ফাইনালে যাওয়া। তাতেও বাজিমাত করেন ভারতের ছেলে। দোহা এবং সিলেসিয়ায় পারফর্ম না করেও ফাইনালে জায়গা করে নেন নীরজ। কারণ তাঁর ফর্মে ধারাবাহিকতা বজায় ছিল।

লুসানে গত জুলাইতে নীরজ ছুঁড়েছিলেন ৮৯.০৮ মিটার। সেইসময় থেকেই তিনি ভাবতে থাকেন তাঁর ম্যাজিক ফিগার হওয়া উচিত ৯০ মিটার। সেই লক্ষ্যেই তিনি আমেরিকা ও জার্মানিতে ট্রেনিং করতে চলে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি গোড়ালিতে চোটের কারণে কমনওয়েলথ গেমসে নামতে পারেননি। তাতে যে কাজের কাজ হয়েছে, সেটি তিনি ফের বুঝিয়েছেন। এবার তাঁর লক্ষ্য ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here