দেশের সময় , বাগদা: দাম্পত্য কলহ চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। তবে সে সব বিবাদ মিটিয়ে স্বামীর কাছে বাড়ি ফেরার আবদার করেছিলেন স্ত্রী। সেই মতো শনিবার রাতে স্ত্রীকে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে ফিরিয়েও এনেছিলেন যুবক। কিন্তু মাঝরাতেই দুজনের মধ্যে ফের বাদানুবাদ শুরু হয় ৷
সকালে দোতলা থেকে নেমে জানায় নিজে হাতে খুন করেছে স্ত্রীকে। ছেলের মুখে এ কথা শুনে প্রথমে তো নিজের কানকে বিশ্বাসই করতে পারেননি বাবা। কিন্তু, ছেলের রুদ্রমূর্তি দেখে ধীরে ধীরে সবটা বুঝতে পারেন। এরইমধ্যে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ছেলে। কবুল করেন দোষ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্ডপঘটা গ্রামে।
পরিবার সূত্রে খবর, দু’বছর আগে বাগদার নীলগঞ্জের বাসিন্দা রত্নতমার (২৫) সঙ্গে বিয়ে হয় অভিযুক্ত যুবক অরিন্দম বালার। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় সেই বিবাদ তখন মিটে গেলেও কয়েকদিন পর পর ফের ঝামেলা বাঁধত। এর জেরে গত আটমাস ধরে আলাদাই থাকছিলেন সেই স্বামী-স্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত অরিন্দমের ভাই অনির্বাণ বালা জানান, “দাদাকে ফোন করে গতকাল বৌদি বাড়িতে আসার কথা জানিয়েছিল। সেই মতো দাদা গিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে আনে। রাতে খাওয়ার সময় অবধিও দু’জনের আচরণ ঠিকঠাকই ছিল। পরে ওঁরা উপরের ঘরে ঘুমাতে চলে যাওয়ার পর আর কিছুই জানি না আমরা। সকালে দাদা নীচে নেমে জানায়, সে বৌদিকে মেরে ফেলেছে।”
এরপর অভিযুক্ত অরিন্দম নিজেই বাগদা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ৷ পুলিশকে বলেন, ‘স্যার বৌকে খুন করে এসেছি।’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে বাগদা থানার পুলিশ। জানা গেছে, নিহত রত্নতমার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছান বাগদা থানার ওসি। ইতিমধ্যেই অরিন্দমের বিরুদ্ধে খুন মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রত্নতমার দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। এদিকে অরিন্দমের ঘরে এখনও পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। খাটেও লেগে রক্ত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান কুপিয়ে খুন করা হয়েছে রত্নতমাকে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।