দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেই উঠল তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে পুলিশের জালে এবার পুলিশকর্মী। ধৃতদের মধ্যে একজন এএসআই এবং অপরজন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। ধৃত এএসআই-এর নাম সন্দীপ কুমার পাল। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তি বিধাননগর ট্রাফিক গার্ডের এ এস আই। গ্রেফতারির পাশাপাশি তাকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। অপরদিকে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম অভিষেক মালাকার। শ্লীলতাহানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তের পর তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১১টা-সাড়ে ১১টা নাগাদ সল্টলেক করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে এসে নামেন আসানসোলের বাসিন্দা ২৫ বছরের ওই তরুণী। এরপর তাঁর সঙ্গী-সাথীরা অ্যাপ ক্যাব বুক করে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে বেরিয়ে যায়। কিন্তু গাড়ি না পেয়ে ওই বাসস্ট্যান্ডেই দাঁড়িয়ে থাকেন নিগৃহীতা তরুণী।
গাড়ির জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকেন ওই তরুণী।
রাত তখন প্রায় ১টা, দীর্ঘক্ষণ করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করার পর ওই তরুণী দেখতে পান পুলিসের ২টি বাইক। দুটি বাইকের মধ্যে প্রথম বাইকে ছিলেন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার অভিষেক মালাকার। আর দ্বিতীয় বাইকে ছিল অভিযুক্ত এএসআই সন্দীপ কুমার পাল। তাঁদের দেখেই লিফট চান সেই মহিলা। আর এরপরেই বিপত্তি। বাইকে লিফট দেওয়ার নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গন্তব্যে না পৌঁছে বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানো হয় তাঁকে।
এর পর কোনওক্রমে রুবির মোড় পৌঁছন ওই মহিলা। বন্ধুকে ডাকেন এবং ট্রাফিক পুলিশের সাহায্য নিয়ে কসবা থানার দ্বারস্থ হন দু-জন। বছর ২৫-এর ওই তরুণীর অভিযোগ শোনা মাত্রই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় কসবা থানার পুলিশ। অভিযোগকারিনী এবং তাঁর বন্ধুকে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এরপর বিধাননগর নর্থ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা।
পুলিশ সূত্রে খবর বিধাননগর কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগের এএসআই অভিযুক্ত সন্দীপ কুমার পাল। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকেও। ইতিমধ্যেই দু-জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ নং ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।তাঁদের সাসপেন্ডও করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সোমবার বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে দুই ধৃতকে।