দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলার বিজেপি বিধায়কদের নিজের বাসভবনে আমন্ত্রণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার সকালে মোদীর বাসভবনে আমন্ত্রণ করা হয়েছে বঙ্গ বিজেপির ১৭ জন সাংসদকে।
কী কারণে তাঁদের আমন্ত্রণ করা হল, তা স্পষ্ট নয়। তবে, বীরভূমের বগটুই-কাণ্ডের সঙ্গে এই ঘটনার যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বগটুই-কাণ্ডের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাংলার সাংসদরা।
এই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়াও দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুমান করা হচ্ছে, বুধবার বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেই সাংসদদের ডেকেছেন তিনি।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় মোদীর বাসভবনে আমন্ত্রণ করা হয়েছে সাংসদদের। বাংলা থেকে লোকসভায় বর্তমানে মোট ১৭ জন সাংসদ রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককে মোদীর বাসভবনে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ইস্যুতে সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্যে অবিলম্বে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবিতে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন তাঁরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে দিল্লিতে বিজেপির প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানিয়েছিলেন।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো সাংসদরা। পুলিশমন্ত্রী যাতে এই ঘটনার দায় নেয়, সেই দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। আর তাঁরা সেই দাবি জানানোর পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়। শুধু তাই নয়, বিজেপির পর তৃণমূল সাংসদরাও অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর জানায় পুলিশ। সোমবারই নাজেমা বিবি নামে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। ঘটনার পরই এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
হিংসাত্মক হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করেন তিনি। এই জঘন্য কাজ করার জন্য দোষীদের কঠোর শাস্তি দেবে রাজ্য, এমন আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এ বাপ্যারে কেন্দ্র সাহায্য করবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। আর এবার বাংলার সাংসদদের তিনি কোন বার্তা দেবেন, সেটাই দেখার। তবে কারণ যাই হোক, এই আমন্ত্রণ থেকে এটুকু স্পষ্ট যে, বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বিশেষ তৎপর।