দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ গত বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলা রাজনীতিতে সে ভাবে সময় দিতে পারেননি মিঠুন চক্রবর্তী। অন্তত সেরকমই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কিন্তু কয়েক দিন আগেই বঙ্গ রাজনীতিতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। সংগঠনের মূল স্রোতে কামব্যাকের পর আজ , বুধবার হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে বিজেপির বিধায়কদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
সেই বৈঠক শেষেই বিস্ফোরক দাবি করলেন ‘মহাগুরু’। বললেন,বিজেপির সঙ্গে এই মুহূর্তে যোগাযোগ রাখছেন ৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক।
২০ জনের বেশি বিধায়ক সরাসরি তাঁর সঙ্গেই যোগাযোগে রয়েছেন। আজ এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূলের তরফ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছে, বিজেপি নেতারা লাইনে আছেন। দরজা একবার খুলে দিলে গেরুয়া শিবির থেকে একসঙ্গে অনেক জন আসবেন ঘাসফুল শিবিরে। তবে এবার একেবারে উল্টো দাবি করেছেন মিঠুন।
আজ, বুধবার হেস্টিংসে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন মিঠুন। তারপরেই সাংবাদিক সম্মেলন করে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ৩৮ জন শাসক দলের বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছেন।
স্বাভাবিক ভাবে আচমকা মিঠুনের এই বক্তব্যে বেশ শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতির অলিন্দে। তবে মিঠুনের এই ব্রেকিং নিউজের প্রেক্ষিতে একপ্রকার দায় এড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছেন, “উনি বলেছেন উনিই জানবেন।”
আজকের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আরও বলেন, বাংলায় স্বচ্ছ নির্বাচন হলে কালই এ রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়বে। বিজেপি কোথাও কোনও রাজ্যে অশান্তি করেনি বলেও তিনি দাবি করেছেন। মিঠুনের মতে, আগে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একটা সম্মান ছিল, এখন সেখানে প্রশ্নচিহ্ন এসে গিয়েছে।
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এবং মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গেও বলেছেন আজ। তাঁর মতে, প্রমাণ থাকলে তাঁকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেউই আইনের ওপরে নয়। প্রমাণ না থাকলে ঘুমিয়ে থাকার নিদানও দিয়েছেন।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর লোকসভা। বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে গেরুয়া শিবিরে ফের কি সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে? গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে প্রচার করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে ফলাফল ঘোষণার পর থেকে কার্যত আড়ালেই ছিলেন তিনি। সম্প্রতি কলকাতা সফরে এসে বিজেপির রাজ্য দফতরে প্রথমবারের জন্য এসে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি । তার পর ব্যস্ত ছিলেন সিনেমার শুটিংয়ে। ফের গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে রাজনৈতিক বৈঠককে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। এবার তিনি যা দাবি করলেন, তাতে প্রবল আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
যদিও মিঠুনের দাবির পর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ”মিঠুন চক্রবর্তীর ডায়লগ বলা অভ্যাস। আমার মনে হয় উনি সিনেমার ডায়লগ দিয়েছেন। এর সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল নেই। মিঠুন ফ্লপ সিনেমার বা এমএলএ ফাটাকেষ্টর ডায়লগ হয়ত দিচ্ছেন।”