দেশের সময় , কলকাতা: কলকাতায় শুরু হল গঙ্গা আরতি। বৃহস্পতিবার ঘাটে এই আরতি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হামিক, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ থেকে শুরু করে অন্যান্য কাউন্সিলররাও।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা আজ আরতি দেখতে এসেছেন তাঁদের স্বাগত জানাচ্ছি। আমি প্রথম কাশীতে গিয়ে আরতি দেখে এসেছিলাম। সেখানে গিয়েই এই আরতির বিষয়টি আমার মাথায় প্রথম এসেছিল।”
তিনি আরও জানান, শীতকাল সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাজে কদমতলা ঘাটে অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গা আরতি। পাশাপাশি গ্রীষ্মে সন্ধ্যা ৭টার সময় এই আরতি অনুষ্ঠিত হবে প্রতিদিন। তবে দুর্গাপুজোর সময় ভাসানের জন্য কয়েকদিন বন্ধ থাকবে এই গঙ্গা আরতি।
উল্লেখ্য, বাজেকদমতলা ঘাটের আগে বাবুঘাটেও শুরু হয়েছিল গঙ্গা আরতি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীতে শুরু হয়েছিল এই আরতির উদ্যোগ। এই আরতির জন্য অন্যতম দর্শনীয় স্থান হতে চলেছে বাবুঘাট, জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
একইসঙ্গে, বেলুড়-তারাপীঠ এবং দক্ষিণেশ্বরেও এই উদ্যোগ চালু করা যেতে পারে, পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বাবুঘাটের পাশাপাশি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হতে চলেছে বাজেকদমতলা ঘাটও। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভা এই পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধান করতে চলেছে।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দিয়েছিলেন বাবুঘাটের পাশাপাশি অন্যান্য আর কোন কোন ঘাটে গঙ্গা আরতি করা যায় তা খতিয়ে দেখার জন্য। সেই মোতাবেক একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। সেই সময়ই কয়েকটি ঘাটের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। বাজে কদমতলা ঘাটেও গঙ্গা আরতি শুরু করা হবে নেওয়া হয়েছিল সেই উদ্যোগও।
সেই মতো গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাজেকদমতলা ঘাটে গঙ্গা আরতির মহড়া চলছিল। এমনকী, ফিরহাদ হাকিম নিজে যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছিলেন। ঘাট পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়।
কলকাতায় দেশ- বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু পর্যটক প্রতিদিন আসেন। সেক্ষেত্রে কলকাতাকে আরও সাজিয়ে তোলার জন্য একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই গঙ্গা আরতি শহরের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তুলবে বলেই মত পুরকর্তৃপক্ষের।