দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ : সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি মঞ্চ থেকে এদিন জেলার দু লাখেরও বেশি মানুষকে পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠান থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বিজেপি ও সিপিএমকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা দাবি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় যাঁরা সিপিএম করে মানুষের উপর অত্যাচার করত, তাঁরাই এখন বিজেপি করছে।

হাওড়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার রিষড়ায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। তারপর সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোঝাতে চাইলেন, এগুলো বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়। পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।

এদিন খেজুরির ঠাকুরনগর ময়দানে সরকারি কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে বলব, ৬ তারিখটা (6th April) খুব সতর্ক থাকুন। ওরা (BJP) আবার দাঙ্গা করার প্ল্যান করতে পারে। তা যাতে করতে না পারে সেটা আমাদের দেখতে হবে।’

৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী রয়েছে। ওইদিন বজরংবলীর পুজো হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাই বজরংবলীকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু দাঙ্গাবাজিকে আমরা সমর্থন করি না।’ মমতা আরও বলেন, ‘হাওড়ায় অনুমতি ছাড়া সংখ্যালঘু এলাকায় মিছিল নিয়ে ঢুকে পড়েছিল। ইচ্ছে করে ওটা করেছিল। রমজান মাসে সংখ্যালঘুরা ফল খায়। সেই ফলের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। বন্দুক নিয়ে ডান্স করছে। কালকে রিষড়াতেও একই ঘটনা ঘটেছে।’
এদিন হিন্দুদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘আমি হিন্দু ভাই-বোনেদের অনুরোধ করব, ওরা সংখ্যালঘু। ওরা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেটা আপনাদের দেখতে হবে।’

আন্দোলের নামে কোনও ধরনের ভাঙচুর বরদাস্ত করা হবে না বলেও বার্তা দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, “বিজেপির থেকে টাকা খেয়ে অনেকে রাস্তা ভাঙছেন। রাস্তা তৈরি করতে অনেক টাকা লাগে, তা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। একটা আইন রয়েছে, যাঁরা সরকারি বা বেসরকারি সম্পতি ভাঙচুর করছেন, তাঁদের সম্পত্তি সরকার নিয়ে নেবে। সেই সম্পত্তি নিলামে তুলে ক্ষতিগ্রস্থদে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”

এদিন মমতা যখন খেজুরিতে এই বক্তৃতা করছেন তখন একই সময়ে হুগলির কোন্নগরে ধুন্ধুমার চলছে। রিষড়ায় অশান্তির জায়গায় যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মুজুমদারকে। পুলিশ আটকে দিয়েছে তাঁকে। পাল্টা বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। এ হেন পরিস্থিতিতে ৬ এপ্রিল নিয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁর সরকার কী কী কাজ করেছে খেজুরির সভা থেকে সেই কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।

* এপ্রিল থেকে রাজ্যে ষষ্ঠ দফার দুয়ারে সরকার শুরু হয়েছে। যে কোনও পরিষেবা সেখানে গিয়ে আবেদন করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আগে রাজ্য সরকার লাট সাহেবের মতো কলকাতা বসে থাকত, আর এখন সরকার বুথে বুথে গিয়ে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here