দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে একই সঙ্গে দল ও প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বুধবার নবান্ন থেকে সমস্ত জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জেলা প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, কেউ টাকা তুললে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিন। সে যেই হোক। রঙ দেখবেন না।
এরপরেই মমতা বলেন, “পার্টি কাউকে টাকা তুলতে বলেনি। এটা মানুষের পার্টি। কেউ পকেটে মানি তুললে সেটা পার্টির দোষ নয়।” সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, পার্টি মানে শুধু একটা পার্টি নয়। যে কোনও পার্টি হতে পারে। অনেকে তো কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি পাইয়ে দেবে বলেও টাকা তুলছে।
মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা কটাক্ষ করে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীও জানেন এসব বলার জন্য বলছেন। আচ্ছা বলুন তো, কেউ যদি তোলাবাজি না করতে পারে তাহলে সে তৃণমূলটা করবে কেন? তোলাবাজিই তো তৃণমূলের প্রধান জীবিকা। তার জন্যই তো দল করা।”
প্রশাসনের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট করে বলেন, “এরকম হলে ইচ অ্যান্ড এভরি ওয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। আমি যখন শব্দটা বলছি ইচ অ্যান্ড এভরি ওয়ান তার মানে বুঝে নিতে হবে।”
অনেকের মতে, মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রশাসনের মধ্যে বার্তা দিতে চাইলেন, স্থানীয় স্তরে যে যত বড় প্রভাবশালী, মাতব্বর হোক না কেন, কিচ্ছু না দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সেইসঙ্গে পার্টিতেও বার্তা দিতে চাইলেন, ‘আমাদের পুলিশ’ বলে আর রেহাই পাবে না। তা সে যত বড় তৃণমূল নেতাই হোক না কেন।
গত সপ্তাহে যখন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তখন বিরোধী দলগুলি রাজ্য সরকারের উদ্দেশে এক সুরে সমালোচনা করে বলেছিল, এখানে কে শিল্প করতে আসবে? সবাই জানে বাংলায় তোলামূল পার্টির রাজ চলছে।
গতকাল কলকাতায় এসে বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী যাদবও বলেছিলেন, তোলাবাজিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে দিয়েছে। দেখা গেল এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে সেই তোলাবাজি রুখতেই কড়া দাওয়াই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।