দেশের সময়: ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্যে মঙ্গলবার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। কিন্তু আট ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট থাকায় দিল্লি যাওয়া বাতিল করেছেন বলেই সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি এও জানান যে, তিনি যেতে না পারলেও দলের দুই নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিনিধি হয়ে যাবেন। তারা দুজনেই বৈঠকে যোগ দেবেন।

মমতা সাংবাদিকদের বলেন, ” এক দেশ এক ভোট নিয়ে গঠিত কমিটির চেযারম্যান রামনাথ কোবিন্দজীকে আমি অনেক বার ফোন করেছিলাম। প্রথমে আমি তাকে ফোনে পাই নি। তিনি আউট অফ স্টেশন। আপনাদের সঙ্গে কথা বলার আগে তার সঙ্গে ফোনে কথা বললাম। হি ইজ অ্যা জেন্টেলম্যান। আমি ওনাকে জানালাম, যেতে পারছি না। আমার হয়ে সুদীপবাবু আর কল্যাণ বাবু যাবেন। উনি বললেন, মমতাজি , নো প্রবলেম।’

উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালে লোকসভা ও বিধানসভা অর্থাৎ দেশ ও রাজ্য স্তরে একই সঙ্গে ভোট হয়েছিল। এরপর আর এক সঙ্গে ভোট হয় নি। এখন তো বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ক্যালেন্ডার আলাদা আলাদা। যদিও ” এক দেশ এক ভোট” প্রস্তাবনা সম্পর্কে টি এম সি নেতৃত্বের মত, যে রাজ্যে এখন বিধানসভা ভোট নেই, সেখানে শুধু এক সঙ্গে ভোট করানোর স্বার্থে নির্বাচন করানো উচিত নয়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত দিল্লি সফরের আগে রবিবার রাতে রাজধানীতে পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন। পরে বেরিয়ে এসে শুভেন্দু বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে বলেছি, ইতিমধ্যে বরাদ্দ টাকার হিসাব না পেলে নতুন বরাদ্দ করবেন না। শুভেন্দু বলেন, ক্যাগ রিপোর্টেও ২ লক্ষ কোটি টাকার খরচ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মনে করছেন, কেন্দ্র-রাজ্য অফিসার স্তরে বৈঠক করে বকেয়া পাওনার ব্যাপারে যে নিষ্পত্তি ঘটতে চলেছে, সে ব্যাপারে হয়তো তাঁর মত জানাতে দিল্লিতে গিয়েছেন শুভেন্দু। যাতে লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য কোনও বকেয়া টাকা না পায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here