দেশের সময় , কলকাতা: আক্রমণাত্মক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের একের পর এক নেতার গ্রেফতারি। নিয়োগ থেকে রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত একাধিক তৃণমূল সদস্য। এই মুহূর্তে একাধিক তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রীরা বিচারাধীন বন্দি। সেই প্রসঙ্গ টেনে প্রাক্তন মন্ত্রী ও বহিষ্কৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে বর্তমান মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র নামও শোনা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে। জেলবন্দি দলের সদস্যের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন,’আমি বিশ্বাস করি না ওরা সব চোর।’ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব তুলে পালটা হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার বিজেপি নেতাদের জেলে ঢোকানোর হুমকি মমতার মুখে।
সিপিএমকেও এদিন নিশানা করেন নেতাজি ইন্ডোরের সমাবেশ থেকে। বলেন, ৫০টা কাজ করলে কখনও ভুলও হয়। এরপরই মমতার সরাসরি তোপ, “ওখানে সিপিএমের লোকগুলো বসে আছে। সবথেকে বেশি টাকা খায় ওরা। ওরাই দুর্নীতি বলে চিৎকার করে। কারণ, একটা পকেটমার টিম ওঠে গাড়িতে। যে পকেটমার, সে-ই পকেটমার বলে চিৎকার করে পালিয়ে যায়।” এদিন সিপিএমকে ‘নরকঙ্কালের সম্রাট’ বলেও তোপ দাগেন মমতা।
কলকাতা: তৃণমূলের জেলবন্দি নেতাদের নিয়ে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিলেন, দলের নেতাদের চোর বদনাম তিনি কখনওই সহ্য করবেন না। ৫ টাকা নিয়ে ৫০০ কোটির বদনাম করা হচ্ছে বলেও এদিন মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মানিক ভট্টাচার্যদের নাম করে মমতাকে বলতে শোনা যায়, “আমাদের লোকেরা সবাই চোর? দুর্নীতি দেখাচ্ছে। আজ খুব হাসছেন, ভাবছেন পার্থ জেলে, কেষ্ট জেলে, আমাদের আরও কয়েকজন জেলে। আমাদের মানিক ভট্টাচার্য জেলে, বালু জেলে। এটাই চলবে? আগামিদিন যখন আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন না, কোথায় থাকবেন, সেলে?”
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আমাদের ৪টে বিধায়ককে জেলে ভরে রেখেছে। ভাবছে এভাবে সংখ্যাটা কমিয়ে দিই। চুরির জন্য বদনাম দিয়ে আমার ৪ জনকে জেলে রাখে, আমি তাহলে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি দলের পক্ষ থেকে ওদের ৮ জনকে জেলে ভরব। ওদের বিরুদ্ধে অনেক কেস আছে। খুনের কেস আছে, অন্য কেসও আছে।”
দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সমাবেশ থেকে সিপিএমকেও এদিন নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ৫০টা কাজ করলে কখনও ভুলও হয়। এরপরই মমতার সরাসরি তোপ, “ওখানে সিপিএমের লোকগুলো বসে আছে। সবথেকে বেশি টাকা খায় ওরা। ওরাই দুর্নীতি বলে চিৎকার করে। কারণ, একটা পকেটমার টিম ওঠে গাড়িতে। যে পকেটমার, সে-ই পকেটমার বলে চিৎকার করে পালিয়ে যায়।” এদিন সিপিএমকে ‘নরকঙ্কালের সম্রাট’ বলেও তোপ দাগেন মমতা।
যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর বলেছিলেন ‘বদলা নয় বদল চাই’। বৃহস্পতিবার তাঁর মুখেই বদলার বার্তা শোনা গেল। বলেন, “আমাকে বিজেপির কাছ থেকে জ্ঞান শুনতে হবে? সিপিএমের কাছে জ্ঞান শুনতে হবে? বদলা নিতে হবে। বদলা মানে রাজনৈতিক বদলা।” যদিও বিরোধী দলনেতা মমতার ‘রাজনৈতিক বদলার’ বার্তার পাল্টা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এমন কথা বলার জন্য সুনির্দিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়া উচিত।”