দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি বিতর্কের আঁচে তেতে বাংলা।এর মধ্যেই চার দিনের সফরে রাজধানীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে দিল্লি সফরে ঠাসা কর্মসূচি। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের দিল্লির বাসভবনে লোকসভা ও রাজ্যসভার দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে থাকতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় দিল্লি পৌঁছবেন মমতা। এরবার তিনি ৭ মহাদেব রোড চলে যাবেন। উল্লেখ্য, এই ৭ মহাদেব রোডই এখন দিল্লিতে তৃণমূলের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকদের কথায়, সুখেন্দুশেখর রায়ের বাসভবনই এখন নানান রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের আঁতুরঘর হয়ে উঠেছেন।

সূত্রের খবর, নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে  যোগ দিতে আজ দিল্লি সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সফরে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় দিল্লি পৌঁছবেন মমতা। এরবার তিনি ৭ মহাদেব রোড চলে যাবেন। উল্লেখ্য, এই ৭ মহাদেব রোডই এখন দিল্লিতে তৃণমূলের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকদের কথায়, সুখেন্দুশেখর রায়ের বাসভবনই এখন নানান রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে।

আগামী ৭ অগাস্ট নীতি আয়োগের বৈঠক রয়েছে। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের টানাপড়েন, জিএসটি নিয়ে বিবাদের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ওই বৈঠক করবেন। দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরই ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা। সে কারণেই আজ দুপুরের বিমানে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বকেয়া অর্থ না মেটানোর অভিযোগ বহু দিন ধরেই তুলছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

নবান্ন সূত্রে খবর, নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়ে সেই বিষয়গুলিই তুলে ধরতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে ১০০ দিনের কাজে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে বারবার শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক সংঘাত বজায় থেকেছে। সূত্রের খবর, এই সফরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সাক্ষাতের জন্য চাওয়া হবে সময়। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের সময়েই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন।

বিরোধীদের প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে সমর্থনের বিষয়ে তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মমতার দিল্লি সফর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

উল্লেখ্য, নীতি আয়োগের বৈঠকের আগের দিন অর্থাৎ ৬ তারিখ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ওই দিনই ফলাফল প্রকাশ। মার্গারেট আলভা বারবার তৃণমূল কংগ্রেসকে সিদ্ধান্ত বদলের অনুরোধ জানিয়েছেন। রাজধানীতে নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী একান্ত সাক্ষাৎকার হবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।

অন্যদিকে এই সফরে সংসদ ভবনেও যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ এখন বর্ষাকালীন অধিবেশন চলছে। এর পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ হয় কিনা তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই সফরে দিল্লি যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যের বর্তমান যা পরিস্থিতিতে তাতে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও। এটিকে হাতিয়ার করেছে বঙ্গ বিজেপি। নিয়োগ বিতর্কে কোটি কোটি টাকা বিতর্কের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলায়। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিশ্লেষকদের কথায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তির জালে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে শাসকদল। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর অন্য ইঙ্গিতও বহন করছে। তেমনটাই দাবি বিশ্লেষকদের।

বামেদের অবশ্য বক্তব্য, “ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। তারই প্রচেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই নীতি আয়োগের নামে দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এই সফর।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা দলীয় স্তরে অনেক বার্তা পৌঁছেছি। দেখা যাক কী হয়।” সাক্ষাতের কারণ যাই থাক, মোদী-মমতার এই বৈঠক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন বিতর্কের স্রোত তৈরি করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here