শনিতেই সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচন। এদিন ভোট মিটতেই নজর এক্সিট পোলে।
দেড় দশক পর এই প্রথম কি বাংলার কোনও বড় ভোটে দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে চলেছে তৃণমূল? তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষা। অধিকাংশ সমীক্ষারই ইঙ্গিত, সদ্য শেষ হওয়া সাত দফার লোকসভা ভোটে বাংলার ৪২টি আসনের লড়াইয়ে তৃণমূলকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে বিজেপি। শনিবার সপ্তম দফার ভোট শেষ হতেই বিভিন্ন সংস্থার সমীক্ষা প্রকাশ হতে শুরু করেছে।
শনিবার সন্ধে ৬টায় শেষ দফার ভোট গ্রহণ সমাপ্ত হতেই বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ হতে শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত যা ইঙ্গিত তাতে বাংলায় শাসক ও বিরোধীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলেছে। কোনও কোনও সমীক্ষক সংস্থা বাম-কংগ্রেস জোটকেও একাধিক আসনে জয়ী হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে কোথায় কে এগিয়ে? এক্সিট পোল কী বলছে?
এখন দেখে নেওয়া যাক, কোন সমীক্ষা কাকে কত আসন দিচ্ছে।
তবে জানিয়ে রাখা ভাল, সব বুথ ফেরত সমীক্ষা সঠিক অনুমান করতে পারে তা নয়। বুথ ফেরত সমীক্ষা থেকে জনমতের একটা আভাস অবশ্যই পাওয়া যায়। তা থেকে ভোট শতাংশের ট্রেন্ড মোটামুটি ভাবে আন্দাজ করা সম্ভব। তবে ভোট শতাংশ থেকে আসন সংখ্যা বের করার প্রক্রিয়া জটিল। সেখানেই অনেক সময়ে ত্রুটি থেকে যায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২২, বিজেপি ১৮ এবং কংগ্রেস ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সেবারে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল শতকরা ৪৩.৭ শতাংশ। বিজেপি পেয়েছিল ৪০.৬ শতাংশ ভোট। ওই ভোটে বিজেপির শতকরা প্রায় ১৬ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি হয়েছিল। অন্যদিকে ১৬.৭২ শতাংশ ভোট কমেছিল বামেদের। বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল শতকরা ৭.৫ শতাংশ। কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫.৭ শতাংশ।
এ বার সেই ভোট শতাংশে বদলের আভাস মিলল। দেখা গেল, বিজেপির ভোট বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পেতে পারে। সমান ভাবে কমতে পারে তৃণমূলের ভোট। তবে বাম-কংগ্রেসের মিলিত ভোটের খুব একটা হেরফের দেখা যাচ্ছে না।
কী এই বুথফেরত সমীক্ষা?
এক্ষেত্রে ভোটারদের থেকে তাঁদের পছন্দের প্রার্থী এবং দলের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। ভোটদান করে বার হওয়ার মুহূর্তে ভোটারদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। এর উপর ভিত্তি করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তবে সবসময় যে বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্টের সঙ্গে ভোটের ফলাফল হুবহু মিলে যায় তা নয়। অতীতে একাধিক সময় দেখা গিয়েছে এক্সিট পোলের রিপোর্ট পুরোপুরি বদলে গিয়েছে ফলাফলে।