দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অন্ততলোকে পাড়ি দিলেন সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুনাথ ওরফে কেকে।
কলকাতায় আনুষ্ঠান শেষে তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সঙ্গীত জগতের তারকাদের মতো লক্ষ লক্ষ ভক্ত। বুধবার সন্ধেয় কলকাতায় রবীন্দ্র সদনে গান স্যালুটের মাধ্যমে তাঁকে শেষ বিদায় জানানো হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়, মদন মিত্র, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র সদনে। মুম্বই থেকে এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী জ্যোতি, পুত্র নকুল ও কন্যা তামারা। গান স্যালুটের পরেই তাঁর মরদেহ নিয়ে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন কেকে-র পরিবার।
বৃহস্পতিবার সকালেই কেকে-র বাড়ি পৌঁছে যান হরিহরণ। তারপর একে একে সেখানে আসেন অলকা ইয়াগনিক, শঙ্কর মহাদেবন, শ্রেয়া ঘোষাল, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, জাভেদ আলি, সালিম মার্চান্ট, রাঘবের মতো তারকারা। সকলেরই চোখ ছিল ভেজা। শ্রেয়া ঘোষালকে ক্যামেরার সামনেই ভেঙে পড়তে দেখা গেছে।
মুম্বইয়ের মুক্তিধাম শ্মশানে বৃহস্পতিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হল কেকে-র ৷ শ্মশানযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন অগণিত ভক্ত, অনুরাগী। ভারতীয় সঙ্গীতজগতের তারকাদেরও কেকে-র শেষযাত্রায় পা মেলাতে দেখা গেছে।
হরিহরণ থেকে শুরু করে শ্রেয়া ঘোষাল, অলকা ইয়াগনিক সকলেই এসেছেন সহশিল্পীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে।
শুধু সঙ্গীতশিল্পীরাই নন, কেকে-কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাড়িতে এদিন হাজির হয়েছিলেন বলিউডের তারকারাও। বিশাল ভরদ্বাজ, কবীর খানদের মতো বলি পরিচালকরা এসেছিলেন, সামিল হয়েছেন কেকে-র শেষযাত্রায়।
দুপুর ১টা নাগাদ পার্ক প্লাজা থেকে কেকে-র নশ্বর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ভারসোভার মুক্তিধাম শ্মশানে। কেকে-র অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার সময় হাজির ছিলেন সঙ্গীত জগতের সতীর্থরা। চিতার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ছেলে নকুল ও মেয়ে তামারা। কেকে-র মুখাগ্নি করেন তাঁর ছেলে নকুল। বাবাকে শেষবারের মতো দেখার মুহূর্তে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।তাঁর সঙ্গে শেষবার পা মেলান অগণিত ভক্ত-অনুরাগী, মুম্বইয়ের অজস্র সাধারণ মানুষ
মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানে গাইতে এসেছিলেন কেকে। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে হোটেলে ফিরে অসুস্থতা বাড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর। কেকে-র এভাবে অকালে চলে যাওয়া মানতে পারছেন না কেউ। ভারতীয় সঙ্গীতজগতে কেকে-র মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি।