দেশের সময়,বনগাঁ: রীতি মেনে নতুন বছরের প্রথম দিন অন্যান্য জায়গার মতো উত্তর ২৪পরগনার বনগাঁ চাঁপাবেড়িয়া রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনে এবছরও মহাধুমধামের সঙ্গে পালিত হল কল্পতরু উৎসব। এই উপলক্ষে সকাল থেকেই এদিন রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনে ঢল নেমেছিল ভক্তদের। পুজো দেওয়ার জন্য উপ স্থিত ছিলেন বহু মানুষ। করোনার চোখ রাঙানির জেরে গত দু’বছর সেভাবে কল্পতরু উৎসবে শামিল হতে পারেননি ভক্তরা। এবার তাই ভক্ত সমাগম অনেক বেশি। কল্পতরু উৎসব ঘিরে সাজানো হয় মন্দির।
১৮৮৬ সালের পয়লা জানুয়ারি কল্পতরু রূপে ভক্তদের আশীর্বাদ করেছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ। কাশীপুর উদ্যানবাটিতে তিনি ভক্তদের আশীর্বাদ করে বলেছিলেন, তোমাদের চৈতন্য হোক। এরপর থেকে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনে পালিত হয়ে আসছে কল্পতরু উৎসব। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এদিন সকাল থেকে পুণ্যার্থীদের ঢল নেমেছিল দক্ষিণশ্বর ও কাশীপুর উদ্যানবাটিতে ঠিক তেমনই বনগাঁর চাঁপাবেড়িয়া রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনেও ভক্ত সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। মঙ্গলারতি দিয়ে দিনের সূচনা হয় পূজা-পাঠের। এরপর রীতি মেনে মায়ের পুজো হয়। ইংরেজি বছরের প্রথম দিন মায়ের দর্শন পাওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ান ভক্তরা। সারাদিনব্যাপী চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ৷
এদিন শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর ভক্তদের কাছে নিজেকে ঈশ্বরের অবতার বলে ঘোষণা করেছিলেন। ফলে এই বিশেষ দিনে ভক্তরা প্রত্যেকেই চাইছেন, একবার দর্শন করতে। তাঁরা মনে করেন, ঠাকুরের বিশেষ উৎসবগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। কাশীপুর উদ্যানবাটিতেই ঠাকুর জীবনের শেষ দিনগুলি অতিবাহিত করেছিলেন। ফলে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি কাশীপুরেও ভক্তদের বাঁধনহারা ভিড় যেমন হয়, তারই পাশাপাশি দেশ তথা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত মিশনেও ভক্তের সমাগম ঘটে৷
উল্লেখ্য ,বনগাঁ চাঁপাবেড়িয়া রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনে এদিনের কল্পতরু উত্সবে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের কল্পতরু রুপে আবির্ভাবের তাৎপর্য আলোচনা করেন স্বামী প্রবুদ্ধানন্দ ( শাখা সম্পাদক রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন, জয়রামবাটী শাখা ) । এছাড়াও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিল ভক্তিগীতি, আরতিও প্ৰার্থনা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান ৷