দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ: বালুর-র গ্রেফতারির পর একের পর এক নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে৷ এ বার নতুন করে উঠে এল ৩ টি নোটবুকের প্রসঙ্গ! এবার এই তিনটি নোটবুক নিয়েই বাড়ছে বিপুল রহস্য !
কী আছে সেই নোটবুকে?
কাদের নাম আছে?
তাঁদের সঙ্গে কী যোগাযোগ ছিল প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর?
কোনও লেনদেন হত তাঁদের মধ্যে? এসব নিয়েই ঘনাচ্ছে রহস্য !
রেশন দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমে গত ২৬ অক্টোবর গভীর রাতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। তারপর থেকেই তল্লাশি অভিযানে আরও গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নতুন করে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ চাটার্ড অ্যাকাউন্টটেন্ট শান্তনু ভট্টাচার্য এবং মন্ত্রীর বর্তমান আপ্ত সহায়ক অমিত দে’র বাড়িতে। এদিন সকালে নেতাজিনগরে শান্তনুর বাড়িতে পৌঁছয় ইডির একটি দল। অন্যদিকে বাঁশদ্রোনীতে অমিতের ফ্ল্যাটে পৌঁছয় ইডির আরও একটি দল।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, এদিনের তল্লাশি অভিযানে তিনটি নোটবুক বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। যে নোট বুকে রেশনের একাধিক হিসেব রয়েছে বলে সূত্রের খবর। নোটবুকে রয়েছে একাধিক ব্যক্তির নাম ও টেলিফোন নম্বরও। মেরুন ডায়েরির মতো এই তিনটি নোট বুকও রেশন দুর্নীতির তদন্তে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, মন্ত্রীর বর্তমান আপ্ত সহায়ক অমিত দে’র অংশীদারিত্ব রয়েছে বাঁকুড়ার দুটি সংস্থায়। সেই সূত্রেই এদিন নতুন করে তাঁর বাঁশদ্রোনীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযানে নেমেছেন তদন্তকারীরা। তবে এই তিনটি নোটবুক শান্তনু নাকি অমিত, কার বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ির পাশাপাশি তাঁর বর্তমান ও প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের বাড়ি সহ ১২ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেদিন মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দে’র বাড়ি থেকে একটি মেরুন ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা। ‘বালুদা’ নামাঙ্কিত ওই মেরুন ডায়েরিতে রেশনের টাকার লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক তথ্য লেখা রয়েছে বলে আগেই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছিল।
আপাতত ইডির স্ক্যানারে রয়েছে বাজেয়াপ্ত করা তিনটি নোটবুক৷ ইডিসূত্রে খবর মিলেছে, অভিযান চালানোর সময়েই বিভিন্ন নথিপত্রের সঙ্গে এই তিনটি নোটবুক মিলেছে৷
সূত্রের দাবি, নোট বুক থেকে হিসেব নিকেশ সংক্রান্ত তথ্য মিলেছে৷ ওই নোটবুকে রয়েছে বেশ কয়েকজনের নাম৷ কারা তাঁরা, এখন এতেই রহস্য৷ কেন তাঁদের নাম লেখা রয়েছে ডায়েরিতে৷
ইতিমধ্যে সেই নামের তালিকা তৈরি করে খোঁঝ নিচ্ছে ইডি৷ হতে পারে, এরা বাকিবুরের মতো কেউ, বা অন্য কোনও এজেন্ট বা অন্য কোনও দিক থেকে যোগ আছে এদের৷ সেই বিষয়েই ইডির নজর রয়েছে৷
নোট বুকে টাকা গ্রহণ শুধু নয়, কাকে দেওয়া হয়েছে- সেই বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে৷ তা হলে কী দুর্নীতির টাকা কোথায়, কোন খাতে গিয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত লেখা রয়েছে এই নোট বুকে৷ আপাতত সেটাই জানার চেষ্টায় তদন্তকারী অফিসারেরা৷