দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ধর্মনগরী যোশীমঠকে রক্ষা করতে সব রকম সাহায্য করার আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৷ রবিবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে ফোনে এই আশ্বাস দেন মোদী। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মঠের হালফিল অবস্থা সম্পর্কে টেলিফোনে খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী এবং আশ্রয়হীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

যোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামির সঙ্গে। টুইটে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যোশীমঠের পরিস্থিতির ব্যক্তিগত ভাবে নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে সংকট মোকাবিলায় সব রকম সাহায্যেরও আশ্বাস দিয়েছেন নমো। ধামি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর টেলিফোনে গোটা বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। যোশীমঠের জনগণের পুনর্বাসন ও নিরাপত্তার জন্য সরকার কী কী পদক্ষেপ করছে সেই সম্পর্কেও তাঁর কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যোশীমঠের এই সংকটের পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ড সরকারকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

যোশীমঠে এখনও পর্যন্ত ৬০০-র বেশি পরিবারকে বাড়ি থেকে সরানো হয়েছে। একের পর এক বাড়িতে নতুন করে ফাটল ধরছে এই পরিস্থিতিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর দফতরে । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পি কে মিশ্র ডাকা বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিবদের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্তারা থাকছেন। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের কর্তারাও।

যোশীমঠের বিভিন্ন এলাকায় রবিবারও নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। চামোলি জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিসা বাহিনী যোশীমঠের বিভিন্ন এলাকা খতিয়ে দেখে বিপজ্জনক বাড়ি চিহ্নিত করছেন। ফাটল ধরেছে এমন বাড়িগুলিতে লাল ক্রস দিয়ে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যোশীমঠের নয়টি ওয়ার্ডের ৬০৩ টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে খবর। ফাটলের হাত থেকে রেহাই পায়নি যোশীমঠের সেনার বেসক্যাম্প। ফাটল ধরেছে যোশীমঠের প্রাচীন শংকরাচার্য মঠের দেওয়ালেও।

যোশীমঠের এই বিপর্যয়ের জন্য জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে টানেল তৈরির জন্য পাহাড় ফাটাতে বিস্ফোরণ করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই বিস্ফোরণে বারবার কেঁপে উঠত গোটা শহর। গত ডিসেম্বর থেকেই যোশীমঠে একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরতে শুরু করে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগে একাধিক বার এই নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও লাভ হয়নি। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে চামোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানার দাবি, NTPC-র পক্ষ থেকে তাঁকে জানানো হয় নিময় মেনে কাজ হচ্ছে। ফলে এই পরিস্থিতি কী করা উচিত তা আগেই ঠিকই করতে পারেনি প্রশাসন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here