
দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিল বারাসাত পুলিশ জেলা। সীমান্তবর্তী আমডাঙা, গোবরডাঙা, হাবড়া, দেগঙ্গা-সহ ১৬টি জায়গায় বসানো হচ্ছে ৩৪টি সিসি ক্যামেরা।
ব্যারাকপুর কমিশনারেট, বনগাঁ পুলিশ জেলা ও বারাসাত পুলিশ জেলার অন্তর্গত সীমান্তবর্তী এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে চলবে নজরদারি। পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের মোবাইল ফোনে থাকবে এই সব সিসি ক্যামেরার লিঙ্ক।

দুষ্কৃতীরা যাতে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে না পারে, তার জন্যই এই বিশেষ ব্যবস্থা। সম্প্রতি আমডাঙার করুণাময়ী কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় বিশেষভাবে কাজে লাগে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। তারপরই এই উদ্যোগ বারাসাত জেলা পুলিশের।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রাচীন জনপদ গোবরডাঙা। ১৮৭০ সালে গোবরডাঙা পুরসভা তৈরি হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার মোট আয়তন প্রায় ১৪ বর্গ কিলোমিটার। ওয়ার্ড সংখ্যা ১৭টি। মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন গোবরডাঙার মানুষের দীর্ঘ দিনের চাহিদা ছিল পূর্ণাঙ্গ একটি থানার। সেটি তৈরি হয়েছে।
তারপর সিসি ক্যামেরা বসার পরে শহরবাসী জানিয়েছেন, এখন শহরের আইন-শৃঙ্খলা আগের থেকে ভাল। তবে ইদানীং দুষ্কৃতীদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে মাঝে মধ্যে। তাই সিসি ক্যামেরা মেরামত করা জরুরি। যদিও এখনই সিসি ক্যামেরা মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে পুরসভা সূত্রে , ‘‘পর পর ঝড়ে শহরের বেশিরভাগ সিসি ক্যামেরা বিকল হয়ে গিয়েছে। ওইগুলি মেরামত করতে হলে ১৫-২০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এই মুহূর্তে এত টাকা পুরসভার তহবিলে নেই। তবে ক্যামেরাগুলি চালু করা হবে খুব শীঘ্র বলে দাবি করেন পুর কর্তৃপক্ষ।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম ব্যবসার কেন্দ্র হাবড়া শহর। অতীতে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতি লেগেই থাকত। বিশেষ করে সোনার দোকান, মিষ্টির দোকানে লুটপাট হয়েছে অতীতে। বহু মানুষ ব্যবসার কাজে শহরে আসতে হয়। সঙ্গে তাঁদের নগদ টাকা থাকে। টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। নিরাপত্তা বাড়াতে এবং অপরাধীদের শনাক্ত করতে শহর এলাকা সিসি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হয়। এর ফলে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
তবে ইদানীং বহু ক্যামেরা খারাপ হয়ে পড়ে আছে এখানেও। ঝড়ে ক্ষতি হয় ক্যামেরার। তারপর আর মেরামত করা হয়নি। হাবড়া থানা সূত্রে জানা গেছে ‘‘বেশিরভাগ ক্যামেরা খারাপ। তবে সেগুলি মেরামত করতে পদক্ষেপ করা হয়েছে।

সীমান্ত শহর বনগাঁর পরিস্থিতিও একই। কেপমারি, চুরি, ছিনতাই রুখতে সিসি ক্যামেরার ভাল ভূমিকা ছিল। অতীতে সিসি ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে পুলিশ অনেক অপরাধী শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করেছিল।

বনগাঁ থানা সূত্রে জানা গেছে ‘‘শহরের ৬৫টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে ২০টি মেরামত করা হয়েছে এবং সেগুলি সচল। দিন কয়েকের মধ্যে বাকি ক্যামেরাগুলি মেরামত করে ফেলা হবে।

শহরবাসীরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্যামেরায় ছবির গুণগত মান ভাল হয় না। ফলে ছবি দেখে স্পষ্ট করে অপরাধীদের শনাক্ত করা যায় না। উন্নতমানের ক্যামেরা বসানোর দাবি আছে সর্বত্রই।
