দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ টাকার বিনিময় বাংলাদেশীদের কাছে জাল ভারতীয় পরিচয় পত্র বিক্রি করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বনগাঁ থানার পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয়দের নকল আধার কার্ড ভোটার কার্ড সহ বিভিন্ন পরিচয় পত্র তৈরি করে তা বাংলাদেশীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করছিল এই চক্র। মৃত ব্যক্তি সেই চক্রের একজন মাথা বলে জানা গেছে। এর আগে সেই চক্রের আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
ধৃত ব্যক্তির নাম নগেন মণ্ডল। বনগাঁর চাঁদা-পানচিতা এলাকার বাসিন্দা সে। পুলিশ জানিয়েছে বনগাঁ মহকুমা আদালতে সে একজন ল-ক্লার্ক হিসেবে কাজ করে।
পুলিশ জানিয়েছে, কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার জুরগোয়া গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জু মণ্ডল নামের এক মহিলাকে নকল ভারতীয় আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিদ্যুৎ সরকার নামে এদেশের এক ব্যাঙ্ককর্মী।
মঞ্জু আগেই সীমান্ত পেরিয়ে চোরাপথে ভারতে ঢুকে পড়েছিল। পানচিতা গ্রামের একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে শুরু করে সে। পরে পাকাপাকিভাবে এদেশে থাকার জন্য আধার কার্ড তৈরি করতে বিদ্যুৎ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে। মঞ্জুর সঙ্গে দেখা করতেই স্বরূপনগর থানার বাসিন্দা বিদ্যুৎ বনগাঁয় আসে। তখনই বিএসএফের জওয়ানদের হাতে ধরা পড়ে তারা। তাদের কাছ থেকে একাধিক জাল ভারতীয় ভোটার কার্ড আধার কার্ড সহ বেশ কয়েকটি মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ।
বিদ্যুৎ সরকার, সমীর দাস, শান্তনু মালাকার এবং জগন্নাথ দাস নামে চারজনকে সেই সময় গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের জেরা করেই নগেন মণ্ডলের সন্ধান পাওয়া যায়।
জেরায় তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে যারা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে, বিভিন্ন সূত্র মারফত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাচার চক্রের লোকজন। ২০-৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক একটি ভুয়ো পরিচয়পত্র ‘মিডল ম্যান’দের সাহায্যে তাদের কাছে বিক্রি করা হয়। নকল পরিচয়পত্র তৈরি করার জন্য মৃত ব্যক্তিদের ভোটার কার্ড জোগাড় করত এই চক্রের পাণ্ডারা। তারপর সেই কার্ডগুলো থেকে হলোগ্রাম সংগ্রহ করে নতুন জাল পরিচয় পত্র লাগানো হয়।
বনগাঁ মহকুমা আদালতের মুখ্য ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী অসীম দে বলেন, ‘‘ধৃতকে আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।