দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলায় একটা খুব জনপ্রিয় কথা আছে, ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। আর সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন চন্দননগরের প্রসেনজিৎ ৷ পায়ে হেঁটেই লাদাখের উদ্যেশ্যে রওনা দিলেন তিনি।

ছোটবেলা থেকেই বাইক চালানোর শখ জিতের। আর ইচ্ছে পাহাড় ঘোরার। বাইক নিয়ে তিনি ঘুরে এসেছেন সিকিম, দার্জিলিং। বর্তমানে তিনি একটি খাবার ডেলিভারি সংস্থার কর্মী। ইচ্ছা লাদাখ যাওয়ার। কিন্তু তেলের যা দাম, বাইকে করে লাদাখ যাওয়ার খরচ তিনি জোগাতে পারবেন না। কিন্তু লাদাখ তো যেতেই হবে। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন পায়ে হেঁটেই যাবেন লাদাখ।

লক্ষ্য ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানানো। একইসঙ্গে প্লাস্টিক মুক্ত ভারতবর্ষ গড়ে তোলা। এই বার্তা নিয়ে পায়ে হেঁটে লাদাখ রওনা হলেন চন্দননগরের প্রসেনজিৎ পাল। হাওড়া ব্রিজ থেকে শুরু। গন্তব্য লাদাখ। দূরত্ব প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার। লক্ষ্য পূরণে নির্ধারিত সময় তিন মাস। অর্থাৎ ৯০ দিন। সোমবার সকালে লাদাখের উদ্দেশে হাওড়া ব্রিজ থেকে যাত্রা শুরু করেন প্রসেনজিৎ।

মোটর বাইক নিয়েই লাদাখ যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। কারণ আড়াই হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানির খরচ যোগানো তাঁর পক্ষে ছিল কার্যত অসম্ভব। একইসঙ্গে তাঁর এই প্রচার যেহেতু দূষণ বিরোধী, তাই মোটর বাইকের নূন্যতম দূষণ এড়াতে তাঁর পায়ে হেঁটে অভিযান করার উদ্যোগ।

সম্প্রতি পায়ে হেঁটে আড়াই হাজার কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে লাদাখ পৌঁছেছেন সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়া গ্রামের মিলন মাঝি। একশ দিনে এই বিস্তীর্ণ রাস্তা অতিক্রম করার লক্ষ্য নিয়ে অভিযান শুরু করলেও, মাত্র ৮৩ দিনেই মিলন তা সম্পূর্ণ করেছেন। মিলনকে দেখে মিলেছে উৎসাহ। তাই বাইকে নয়, দূষণ বিরোধী এই লম্বা অভিযান পায়ে হেঁটেই অতিক্রম করতে চান প্রসেনজিৎ। একইসঙ্গে তাঁর এই পরিশ্রম উৎসর্গ করতে চান ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here