দেখতে দেখতে ৭৭ বছরে পড়ল বনগাঁর হিন্দু মহাসভার কালীপুজো। স্বাধীনতার আগে থেকেই হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী এই কালীপুজো। একসময় অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে এই পুজো শুরু করেছিলেন হিন্দুরা। কিন্তু এখন বনগাঁর আপামর ব্যবসায়ীর পুজো হয়ে উঠেছে এটি।
জাঁকজমক নেই। সাবেকিয়ানা ও নিষ্ঠাই এই পুজোর মূল বিষয়, বললেন এবারের পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুভাষ হালদার। নৈহাটির বড়মা’কে বনগাঁবাসীর সবাই দেখেননি। কিন্তু নাম শুনেছেন। আর তা থেকেই তাঁদের কাছে হিন্দু মহাসভার বিরাট কালীই হয়ে উঠেছে ‘বড়মা’। দেখুন ভিডিও
বনগাঁ শহরের হীরালাল মূর্তির পাশেই অস্থায়ী পুজো মণ্ডপে প্রতিবারের মতো এবারও ট্রলির উপর বানানো হয়েছে প্রতিমা। এখানে বরাবরের মতো এবারও মায়ের সঙ্গে থাকছে ডাকিনী যোগিনী।
সুভাষবাবু বলেন, চারদিন মাকে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ভক্তদের দানে ৫০ ভরি সোনার ও দেড়শো ভরিরও বেশি রুপোর গয়নায় সাজবে মা। সিসিটিভির নজরদারিতে মোড়া রয়েছে গোটা মণ্ডপ চত্বর।
সারাক্ষণের জন্য পুলিশি নজরদারি ব্যবস্থা থাকে ৷ পুজোর ক’দিন ঢালাও প্রসাদ বিতরণ করা হয়। রয়েছে বাউল গানের আসর। শহর পরিক্রমা করে ইছামতী নদীতে বিসর্জন দেওয়া হবে বড় মাকে ৷ ট্রলি করেই নিয়ে যাওয়া হবে মাকে। হিন্দু মহাসভার কালী প্রতিমা দেখতে বিসর্জনের দিন রাস্তার দু’ধারে ভিড় জমে যায়। এবারও মানুষের মধ্যে সেই উন্মাদনার কোনও ঘাটতি হবে না বলেই মনে করেন পুজো উদ্যোক্তারা।