পিয়ালী মুখার্জী , ওয়েবডেস্কঃ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিয়ার দিবস। চা, কফির পর এই তেঁতো স্বাদের পানীয়ের খ্যাতি বিশ্বের নজর কাড়ে। স্বাদে বিদঘুটে হলেও এতে রয়েছে একাধিক গুণ। আজ বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে বিয়ার দিবস। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক বিয়ার দিবস পালন। এই অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় পান করা অধিকাংশের মতে ক্ষতিকারক।
তবে, জানেন কি বিয়ার পানেরও রয়েছে উপকারীতা। আজ রইল বিয়ারে গুণে খোঁজ। জেনে নিন কেন খাবেন বিয়ার।
বিয়ারের মধ্যে থাকে ভিটামিন বি, অ্যান্টি অক্সিঅক্সিডেন্ট, ফসফরাস, ফোলেট ও কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া। তাই বিয়ার শরীরে তেমন ক্ষতি করে না। তবে অধিক বিয়ার পারেন হোমোসিস্টেনের স্তর কমে যায়। এতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সুস্থ থাকতে পরিমাণ মতো বিয়ার পান করুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিয়ার হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। সেই সঙ্গে জয়েন্ট পেইন, হাড়ের গঠনের সাহায্য করে বিয়ার। তাই এতে শরীরে তেমন ক্ষতি করে না। খেতে পারেন বিয়ার।
জানেন কি, বিয়ার খেলে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বিয়ার ক্যান্সার সৃষ্টিকারী এনজাইমগুলোকে বাধা দেয়। হলে এই রোগ থেকে থাকত পারেন মুক্ত।
তেমনই ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধিতে বিয়ারের ভূমিকা বিস্তর। এটি চুলের জন্যও ভালো। বিয়ার খাওয়ার সঙ্গে চুলে মাখতে পারেন। একাধিক সমস্যা দূর হবে এর গুণে। বিয়ার শ্যাম্পুও চুলের জন্য বেশ উপকারী।
বিয়ার পানে কিডনি থাকে সুস্থ। এটি খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কম হয়। তবে, বেশি মাত্রায় বিয়ার পানে লিভার, প্যানক্রিয়াস ও হার্টের ক্ষতি হতে পারে।
একাধিক উপকারের সঙ্গে একাধিক শারীরিক জটিলতার কারণ হতে পারে বিয়ার। যারা অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন তারা ভুলেও খাবেন না বিয়ার। এতে ঘুমে ব্যঘাত ঘটে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। দূর হবে একাধিক জটিলতা।
তেমনই এতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যালকোহল থাকে। যা শরীরে একাধিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে সুস্থ থাকতে চাইলে মদ্যপান থেকে দূরে থাকাই ভালো।
গর্ভবতী মহিলারা ভুলেও বিয়ার পান করবেন না। বিয়ার পানে বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমনকী, এই হবু মায়ের জন্যও ক্ষতিকর। তেমনই গর্ভধারণের পরিকল্পনা করা কালীন বিয়ার পান বন্ধ করুন। মদ্যপান থেকে যত দূরে থাকবেন, তত শরীর থাকবে সুস্থ। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। দূর হবে একাধিক জটিলতা।