দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র ঝোড়ো হাওয়ার জেরে রাস্তাঘাট জলমগ্ন।একেবারে বিপর্যস্ত রাজধানী ৷
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার ভারী বৃষ্টি অব্যাহত সেখানে। তার ওপর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী পাঁচ দিন দিল্লিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণ–পশ্চিম দিল্লির বসন্ত বিহার, মুনিরকা, আর কে পুরম এলাকায় চলছে বৃষ্টি। আইএমডি জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৯টার পর বৃষ্টির পরিমাণ একটু কমলেও ঝোড়ো হাওয়া জারি থাকবে। গত বৃহস্পতিবারও দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বিকেলের পর নামে স্বস্তির বৃষ্টি। যদিও এত বেশি বৃষ্টি হয়েছে যে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। একাধিক এলাকায় তীব্র যানজট।
বঙ্গোপসাগরে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, যার মধ্যে একটি রয়েছে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। অপর ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছে গত সোমবার।
এর জেরে বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর আজও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে। পাশাপাশি দিনভরই মেঘলা থাকবে আকাশ।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আর ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। পাশাপাশি আগামী ৪৮ ঘন্টাতেও ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও নদিয়ায়। ফলে ভাদ্রের মাঝামাঝি এই নিম্নচাপের বৃষ্টিতে অসহ্য গরম থেকে সাময়িক রেহাই মেলার ইঙ্গিত রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। তবে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে বৃষ্টি একটু বেশি হবে। বাকি সব জেলাতেই থাকছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ২০ বা ২১ তারিখ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। আজ কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি কম। পাশাপাশি দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত৷ আর তার জেরেই দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় এই বৃষ্টি। উত্তর ওড়িশা ও তার সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে রয়েছে সুস্পষ্ট একটি নিম্নচাপ রেখা৷ হাওয়া অফিস বলছে, এটি আগামী দু’দিনে ছত্তিশগড় ও পূর্ব মধ্য প্রদেশের দিকে এগিয়ে যাবে৷ বৃহস্পতিবারের পর থেকে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস থাকলেও শুক্রবার সকাল তেমন কোনও কোনও বিশেষ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না৷ রাত থেকেই লাগাতার বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ এদিন সকালেও আকাশের মুখভার।
উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি চলবে। উত্তরের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হবে। এখানেও তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না আগামী। নিম্নচাপের পাশাপাশি রয়েছে অমাবস্যার কোটাল। ফলে নিম্নচাপ ও কোটালের জোড়া ফলায় নদী এবং সমুদ্রের জলস্তরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এদিকে এই বৃষ্টিতে বেশকিছু নিচু এলাকায় জল জমে যাওয়ায়, সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।