দেশের সময় ওয়েবডেস্ক :মেদ ঝরাতে আপনি সারাদিনে অনেক কিছুই করছেন। জিমে যাচ্ছেন। যোগা করছেন। হাঁটাহাটিও করছেন। ডায়েটে নজর রাখছেন। কিন্তু রোজ সকালে উঠে শরীরকে ডিটক্স করছেন কি?
এটা কিন্তু বিশেষ জরুরি। কারণ, প্রতি মুহূর্তে আমাদের শরীরে জমা হচ্ছে ফ্রি র্যাডিকেল। যা শরীর থেকে বের করে দেওয়া ভীষণ জরুরি। যদি তা শরীর থেকে বের করা না যায়, তা হলে মারাত্মক রোগ বাসা বাঁধার আশঙ্কা। এমনকী আপনি যাই করুন না কেন, আপনার ওজন কমবে না। তা হলে কীভাবে রোজ সকালে আপনার শরীরকে ডিটক্স করবেন? এর জন্য মোটেই আপনাকে অনেক টাকাপয়সা খরচ করার দরকার নেই। আপনার বাড়ির রান্নাঘরেই রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা দিয়ে আপনি রোজ সকালে কিংবা দিনে দু’বার শরীরকে ডিটক্স করতে পারেন। কীভাবে করবেন? জেনে নিন।
পরিমাণ মতো পরিশুদ্ধ জল নিন। এবার সেই জলে আদা থেঁতো করে বা গ্রেড করে দিন। সঙ্গে দিন কিছুটা জিরে। পাতিলেবুর খোসার সবুজ অংশ গ্রেড করে দিন। এর মধ্যে ফেলে দিন দু’টুকরো দারুচিনি এবং দু’টো তেজপাতা। এবার পাত্রটি ঢাকা দিয়ে কয়েক মিনিট ওই জল ফোটান। এরপর সেঁকে নিয়ে ওই জলে যোগ করুন পাতিলেবুর রস। উষ্ণ গরম অবস্থায় তা পান করুন। হাতে গুনে কয়েকটা দিন করে দেখুন। তড়তড় করে মেদ ঝরবে। তাছাড়া শরীর ও মন থাকবে তরতাজা।
প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে জিরের গুণাগুণ নিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। শুধু ভারতে নয়, ইউরোপ, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলেও রান্নায় জিরে ব্যবহার করা হয়। জিরে হজমে খুব ভাল সাহায্য করে। লিভার ভাল রাখে। পিত্ত ক্ষরণ বাড়ে। এছাড়া জিরের মধ্যে রয়েছে আয়রন। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তারা যদি জিরে ভেজানো জল খান, দারুণ উপকার পাবেন। এতে ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণে থাকে। সুগারের জন্যও জিরে ভেজানো জল খুবই উপকারি।
এবার আসা যাক আদার কথায়। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আদা হজমে সাহায্য করে। যাদের বাতের ব্যথা রয়েছে, তাদের জন্য আদা দারুণ কার্যকরী। আদার মধ্যে থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। ফলে জ্বর জ্বর ভাব, গলাব্যথা চলে যায় আদা খেলে। তাছাড়া আদা ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। ফলে জিরো ও আদার যুগলবন্দি আপনার ওজন কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। সঙ্গে পাতিলেবু, শরীর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসবে জমে থাকা ময়লা। ফলে একদিকে যেমন আপনার শরীর ডিটক্স হবে, তেমনই ওজন কমবে, বিশেষ করে পেটের চর্বি ঝরবে তড়তড় করে।
ডায়াটেশিয়ানরা বলছেন, গরম জল খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের হয়ে যায়। শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। কোষ্ঠাকাঠিন্যর সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এটি দারুণ কার্যকরী। দুধের সঙ্গে দারুচিনি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে আপনার শরীরে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সেলেনিয়াম যোগ হবে। দারুচিনির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিয়মিত দারুচিনি খেলে উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, স্থূলত্বর মতো রোগ ও সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দারুচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।