‘একজন আরেকজনকে ডেকে বলে, দেখো নারী ট্রেন চালাচ্ছে’

দেশের সময় : মঙ্গলবার গোটা বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। লিঙ্গ বৈষম্যকে দূরে সরিয়ে রেখে মহিলাদের সম্মান আর কাজের উপযুক্ত স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে পালিত হচ্ছে এ বারের আন্তর্জাতিক নারী দিবস। রইল নারী দিবসে তেমনই এক নারীর গল্প কথা

আমরা সমাজের অর্ধ অঙ্গ। আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কিরূপে? কোনো ব্যক্তির এক পা বাঁধিয়া রাখিলে সে খোঁড়াইয়া খোঁড়াইয়া কতদূর চলিবে?’ সমাজে নারীকে পিছিয়ে রাখার বিরুদ্ধে এই দ্ব্যর্থহীন উচ্চারণ ছিল নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের। নারীকে এখন আর পিছিয়ে বা দমিয়ে রাখা যায় না, সমানতালে সমাজের অগ্রযাত্রায় সাক্ষর রাখছেন তারা। হয়ে উঠছেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার প্রেরণার প্রতীক।

এমনই একজন নিবেদিতা হালদার। দেশের মহিলা ট্রেনচালক। নিবেদিতা বি.টেক পাস আউট হওয়ার পর আই.টি sector এ প্রথমে কাজ শুরু করে ৷ কিন্তু চ্যালেঞ্জিং challenging কিছু করার ইচ্ছা থেকেই এই পেশাতে আসা৷ ৩ টি ধাপে পরীক্ষা এবং শেষে মেডিকেল টেস্ট test সব মিলিয়ে ১ বছর ধরে চলা নির্বাচন প্রক্রিয়া selection process পেরিয়ে কাজে এ যোগ দিয়েছেন ২০১৯ সালে৷ ভারতের রেলওয়েতে সহকারী লোকো পাইলট বা সহকারী ট্রেনচালক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। প্রথম দিনের ট্রেনের রুট ছিলো রামপুরহাট স্টেশন থেকে বোলপুর শান্তিনিকেতন স্টেশন ৷

বেড়ে ওঠার গল্প শুনতে চাই:

নিবেদিতা হালদার: আমার বেড়ে ওঠা আমার প্রাণের মফস্বল শহর উত্তর ২৪পরগনার গোবরডাঙার বাড়িতে৷ শৈশব কেটেছে মূলত এখানেই। দু’ই বোনের পরিবারে আমরা বেশ ভালোভাবেই বেড়ে উঠেছি। বাবা কেবল অপারেটর ও মা গৃহিণী হলেও পরিবারের সবার পড়াশোনায় মনোযোগ রয়েছে।

দেশের সময় : নারী হিসেবে তখন সমাজে কী দেখতে পেতেন?

নিবেদিতা: আমি অবশ্য একটু ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠেছি। আমাদের শহরে মানুষ বেশ শিক্ষিত । এবং গোবরডাঙ্গাকে এক কথায় সংস্কৃতির পীঠস্থান বলে জানেন অনেকেই৷ আমি আমার আত্মীয়-স্বজন বা আশপাশের লোকজনকে দেখতাম বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরি করছে। আমারও একটা মনমানসিকতা তৈরি হলো যে এই পরিবার থেকেই আমি একটা কিছু করবো। একটা চাকরি, অন্তত একটা ভালো কিছু করবো। আমি আমার পরিবার ও সমাজে সেভাবেই বেড়ে উঠেছি এবং আমি আমার সমাজটাকে সেভাবেই দেখেছি।এক কথায় ছোটবেলা থেকেই দেখেছি নারীকে সমাজে ২য় শ্রেনীর নাগরিক হিসাবে৷

দেশের সময় : ট্রেনচালক হওয়ার চিন্তা কখন মাথায় এলো?

নিবেদিতা : আমি ছোটবেলা থেকেই একটু চঞ্চল প্রকৃতির ছিলাম। ছেলেদের কাজও করতাম, মেয়েদের কাজও করতাম। আমি আমার বাবার কাজেও সহযোগিতা করতাম। আমার ছোটবেলা থেকেই একটা ইচ্ছা ছিল যে ব্যতিক্রমধর্মী পেশায় কাজ করবো। সেটা ট্রেনচালকই যে হবো তা নয়, শুধু ব্যতিক্রমধর্মী হবে এই চিন্তা থেকেই হঠাৎ করে ট্রেনচালক পেশায় আসা।

দেশের সময় : ট্রেনচালক হওয়ার শুরুটা কীভাবে হলো?

নিবেদিতা : আমি বি.টেক পাস আউট হওয়ার পর আই.টি sector সেক্টরে প্রথমে কাজ শুরু কররি ৷ কিন্তু চ্যালেঞ্জিং challenging কিছু করার ইচ্ছা থেকেই এই পেশাতে আসা৷ ৩ টি ধাপে পরীক্ষা এবং শেষে মেডিকেল টেস্ট test সব মিলিয়ে ১ বছর ধরে চলা নির্বাচন প্রক্রিয়া selection  process পেরিয়ে কাজে  এ যোগ দিয়েছি ২০১৯ সালে৷ ভারতের রেলওয়েতে সহকারী লোকো পাইলট বা সহকারী ট্রেনচালক হিসেবে৷

ভারতীয় রেলওয়েতে একটা সার্কুলার হয়েছিল, সেটি সহকারী ট্রেনচালক পদে। তারপর সার্কুলারটা দেখে আবেদন করলাম। লিখিত পরীক্ষায় টিকে যাওয়ার পর গিয়ে দেখি একমাত্র মেয়ে আমি। কলকাতার সল্টলেকে সাইকোমেটিক টেস্ট দিয়ে বাড়ি চলে এলাম। বেশ কিছুদিন পর আমার চাকরিতে যোগদান করার চিঠি হাতে পেলাম। চাকরিতে যোগদান করলাম। তারপর আসানসোল ও ধানবাদ পাঠানো হলো ট্রেনিংয়ের জন্য। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ট্রেনিং করেছি।

দেশের সময় : প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাটা কী ছিল?

নিবেদিতা : প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ছিলো ভীষন exiting.ভয় ছিলো তবে ট্রেনিং ভালোভাবে থাকায় আত্মবিশ্বাস ও ছিলো ৷ প্রথমদিন ট্রেনটি ছিল রামপুর হাট থেকে শান্তিনিকেতন বোলপুর স্টেশন৷

সন্ধ্যায় ট্রেন নিয়ে পৌঁছেগেলাম। আমার সঙ্গে একজন পুরুষ চালক ছিলেন। লোকজন বুঝতে পারেনি যে একটা মেয়ে ট্রেন নিয়ে যাবে। যাওয়ার সময় সব স্টেশনেই লোকজন লক্ষ্য করলো। ফেরার পথে রামপুরহাট স্টেশনে দেখলাম ভরপুর লোকজন আমাকে দেখার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। আমি ট্রেন আস্তে আস্তে থামাচ্ছি আর তারাও আস্তে আস্তে দৌঁড়াচ্ছে। আমি ভয়ে জানালা লাগিয়ে দিয়েছি। তখন এক নারী এসে বললেন, মা, শুধু তোমাকে দেখার জন্য আমরা দাঁড়িয়ে আছি। তখন জানালা খুলে তাদের সবার সঙ্গে কথা বললাম। সবাই কীভাবে যেন জেনে গেলো। আসার সময় প্রতিটা স্টেশনেই এমন লোক ছিল।

দেশের সময় : ট্রেনচালক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে কী প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলেন?

নিবেদিতা : আমার পরিবার শুরু থেকেই আমাকে সহযোগিতা করেছে। প্রতিবেশী-গ্রামের মানুষ, আত্মীয়-স্বজন অনেক খুশি হয়েছে। যখন আমার বন্ধু-বান্ধবীরা সবাই জানতে পারলো। আমি ট্রেন চালাচ্ছি। আগে বুঝেছিল যে আমার একটা চাকরি হয়েছে। কিন্তু ওইভাবে ভাবেনি যে ট্রেনচালক। যখন জানলো তখন সবাই অনেক খুশি হয়েছে। তারা বলতো, আমরা নিবেদিতাকে নিয়ে গর্ববোধ করি যে তুমি আমাদের গশহরের মেয়ে বা আমাদের জেলার মানুষ।পরিবার প্রতিবেশী ও বন্ধুরা আমার এই পেশা নিয়ে খুবই উচ্ছসিত৷

দেশের সময়: একজন পূর্ণাঙ্গ ট্রেনচালক হিসেবে আপনার কী কী দায়িত্ব পালন করতে হয়?

নিবেদিতা : একজন পূর্ণাঙ্গ ট্রেনচালক হিসেবে আমাদের লোকোমোটিভ চেকিং ,সিগনাল এর দিকে সদাসতর্ক দৃষ্টি রাখা এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখতে হয়৷ প্রথমত এত বড় একটি সরকারি সম্পত্তির তদারকি করা। যাত্রীদের নিরাপদে ওঠানো-নামানো। ট্রেন চালানোর সময় যেসব সংকেত তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা। এছাড়া রেললাইনে গাড়ি, মানুষ কিংবা কোনো প্রাণী উঠেছে কি না বা লাইনে কোনো কিছু আটকে আছে কি না। শতভাগ মনোযোগী হয়ে ট্রেন চালাতে হয়। অন্য পেশায় ৯০ %ভাগ ৯৯ %ভাগ মনোযোগে কাজ করলেও হয়ে যায়, কিন্তু এখানে ১০০% শতাংশ দিতে হয়। একটু মনোঃসংযোগ হারালেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

দেশের সময়: ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে আপনাকে কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়?

নিবেদিতা : নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। সেটা হচ্ছে, আমি ট্রেন চালাচ্ছি, হর্ন দিচ্ছি। এর মধ্যে রেললাইনের ওপর গাড়ি উঠে গেছে, আত্মহত্যার জন্য কেউ লাইনে শুয়ে পড়েছে। আমাকে এক সেকেন্ডের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এই মুহূর্তে আমার কী করা উচিত।

আবার অনেক ট্রেন মধ্যরাতে শেষ হয় আর শেষ রাতে শুরু হয়। যেটা শেষ রাতে শুরু হয় সেটা দিনের বেলা শেষ হয়। আর যেটা বিকেলে শুরু হয় সেটা মধ্যরাতে শেষ হয়। ফলে নারীদের জন্য এটি চ্যালেঞ্জই। কারণ শীতের দিনে সাড়ে ৪টা অনেক রাত। তখন একাই বের হতে হয়।একজন নারী হিসেবে যে ঝুঁকি থাকে তা নিয়েই কাজে যেতে হয়।

দেশের সময় : ট্রেনচালক হিসেবে ভালো লাগার জায়গা কোনটি?

নিবেদিতা : ভালো লাগার বিষয়টি হলো, অনেকেই কৌতূহল নিয়ে দেখছেন। একজন আরেকজনকে ডেকে বলেন, দেখো একজন নারী ট্রেন চালাচ্ছে। অনেকে আবার বলে, ম্যাডাম ,আপনি ট্রেন চালাচ্ছেন দেখে খুব ভালো লাগছে। আমাকে দেখে বেশিরভাগ খুশি নারীরাই হয়। তারা গর্ববোধ করে। যখন কোনো জুনিয়র বিশেষত কোনো মেয়ে বা তার পরিবার আমাকে দেখে উৎসাহিত হয়৷

দেশের সময় : আপনাকে দেখে উৎসাহিত হয়েছে বা আপনি জেনেছেন এমন কোনো ঘটনা কি আছে?

নিবেদিতা : এমন অনেকই আছে। আমি ট্রেনে বসে আছি, দেখেই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরেছে। আগে হয়তো দেখেনি শুধু শুনেছেন। এসেই বলে নিবেদিতা, তোমাকে বা আপনাকে যে এভাবে দেখবো কখনোই ভাবিনি। মনে মনে ভেবেছি কখনো দেখবো। অনেকে আবার বলেছে আপনাকে দেখে আমরা মেয়েরা আসলে অনেক সাহস পায়, উৎসাহ পায়। আমরাও আপনার মতো সাহস করে চাইলে কিছু করতে পারবো। আমার এই দীর্ঘ পথচলা, ঝুঁকি নেওয়ার একমাত্র কারণ বাংলার নারীদের জন্যই। যেন তারাও এমন চ্যালেঞ্জিং পেশায় আসতে প্রেরণা পায়।

দেশের সময়: আপনার পরিবার আপনাকে কতটুকু সহযোগিতা করে?

নিবেদিতা : আমার পরিবার এই পেশাটাকে খুব ভালোভাবেই নিয়েছেন, অনেক সহযোগিতাও করেন সকলেই । কাজ করে রাত হলে বাবা এসে স্টেশন থেকে নিয়ে যান। আবার শেষ রাতে যখন বের হই, তিনি আমাকে এগিয়ে দিয়ে যান।

দেশের সময় : রেলওয়েতে নারী পুরুষের সমতা কতটুকু দেখছেন?

নিবেদিতা : আমি আমার মতো দায়িত্ব পালন করি। ছেলেরা ছেলেদের দায়িত্ব পালন করে। আলাদা করে দেখি না। আমার যে পেশা এটা পুরুষদের পেশা বলেই ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু নারীদের যদি করতে হয় তাহলে অনেক কষ্ট করতে হবে। যেমন আমি করি। অনেক কষ্ট করে এতটা পথ আসা। অনেকটা যুদ্ধ করেই আমি আমার জীবনটাকে চালিয়ে যাচ্ছি।ভারতীয় রেলওয়ে নারী পুরুষের সমতা বজায় রাখতে সদা সচেষ্ট৷ তবে এখনও অনেক ক্ষেত্র তে পরিবর্তনের দরকার আছে৷ তার মধ্য অন্যতম মহিলা চালকদের জন্য পর্যাপ্ত ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করা৷

দেশের সময় : এবারের নারী দিবসে আপনার চাওয়াটা কী?

নিবেদিতা : আর নারী দিবসের চাওয়া বলতে শুধু এবার নয়,প্রতিবছরই চাই, নারীদিবস নয়,আসুক সাম্যের দিন!আমি চাই আমার পেশাটাতে আরও নারী আসুক। তবে নারীদের জন্য আরও ভাবতে হবে ভারতীয় রেলওয়েকেও। কী সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করলে তাদের জন্য ভালো হয়, প্রতিবন্ধকতাগুলো দেখতে হবে। যেমন- কিছু ট্রেনে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘ সময় ট্রেনে থাকলে ওয়াশরুম ব্যবহারের প্রয়োজন হলে কোথায় যাবো এসব নিয়ে ভাবতে হবে। মহিলাদের জন্য মাসে অন্তত ছুটি থাকা প্রয়োজন । আমাদের সমস্যা হয়, কিন্তু সেটা আমরা বলতে পারি না।এবং সে ব্যবস্থা নেই৷

দেশের সময় : বিশেষ কোনো স্মৃতি…নিবেদিতা হালদার:

নিবেদিতা : একবার বর্ধমান জংশনে এসে বিশ্রামে যাবো।বর্ধমানের আগে গাংপুর স্টেশনের রেলগেটের কাছে এক মুহূর্তে এক বৃদ্ধা তার মাথায় শুকনো পাতার বোঝা নিয়ে রেললাইন পার হওয়ার চেষ্টা করছিল ৷টুকটুক করে রেললাইনের ওপর হাঁটছে। তখন আমার ট্রেনের গতি বেগে খুবই কমছিল । অনেক দূর থেকে দেখছি দৃশ্যটা। ট্রেনের গতি আরও কমাতে শুরু করি। ঠিক ওনার কাছে গিয়ে ট্রেনটি থামে। এমনও দেখেছি অনেক সুন্দর ফুটফুটে বাচ্চা ট্রেনের নিচে পড়ে গেছে। আফসোস করেছি। আমাদের করার তো কিছু থাকে না। শুধু মন খারাপ হয় কিন্তু দায়িত্বভার এতটাই সময়ের সঙ্গে ভুলতে হয়৷

দেশের সময় : আপনার বন্ধু- বান্ধবীরা পেশাটাকে কীভাবে দেখেন?

নিবেদিতা : আমার ছোটবোন নীলাঞ্জনা ৷ সে ট্রেন দেখলেই বলে আমার দিদির ট্রেন। আমার বোন খুব খুশি। আর আমাকে বলে দিদি, আমি কি তোর মতো হতে পারবো? আমার পরিবার ও সহকর্মী এবং বন্ধু মহল ভীষন ভাবে সমাদর ও সমর্থন করে৷

দেশের সময় : আপনার সবচেয়ে পছন্দের মানুষ?

নিবেদিতা: আমার সবচেয়ে পছন্দের মানুষ আমার মা৷

দেশের সময় : প্রিয় গান?

নিবেদিতা: রবীন্দ্রসঙ্গীত৷

দেশের সময় : আপনার স্বপ্ন কী?

নিবেদিতা : আমার ইচ্ছা আমাদের দেশের মেয়েরা ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক। তাদের উদ্দেশ্যে আমার এটাই বলার তারা যেন সব কাজই করতে পারে। আর আমার নিজের স্বপ্ন, ভারতের নারীরা অনেক এগিয়ে গেছে। নারীর ক্ষমতায়নেও বেশ এগিয়েছে। এই সময়ে আমি চাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে অনুসরণ করুন সমস্ত নারী৷ কারণ তিনি এক যেমন দেশের রেল মন্ত্রী ছিলেন এখন এই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৷ এক জন নারী ৷ তিনি এই বাংলা তথা দেশের মানুষের স্বপ্ন গুলোকে যে ভাবে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছেন তা থেকে প্রমাণ হয় নারী শক্তি কতটা শক্তিশালী ৷ স্বপ্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেদিন সব থেকে দ্রুত গতি ট্রেনের উদ্বোধন করবেন, সেই উদ্বোধনী ট্রেনের চালকটি যেন আমি হই।

একজন আদর্শ নারী হয়ে ওঠো সবার অনুপ্রেরণা। আজকের দিনে এটাই চাই। তুমি আমার ক্ষমতার উৎস, তুমি আমার ভালবাসার অনন্ত নদী। আন্তর্জাতিক নারী দিবস এর অনেক শুভেচ্ছা রইল।  এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ফুল আর সবচেয়ে বর্ণময় কবিতার চেয়েও আকর্ষণীয় তুমি। এই বিশ্বে যা যা সেরা জিনিস আছে, সব যেন তুমি পাও। এই কামনাই করি। সব সময় আনন্দে থাক, কখনও কোনও অবস্থাতেই ভেঙে পড়ো না।                (সংগৃহীত)সাক্ষাৎকার নিয়েছেন  পার্থ সারথি নন্দী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here