দেশের সময় , উত্তর ২৪ পরগনা : হাবড়া দু’নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনাকেন্দ্রে ব্যালট খেয়ে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন শাসক দলের এক প্রার্থী। এবার সেই ব্লকের অন্তর্গত এলাকাতেই খোঁজ মিলেছে ভুতুড়ে ভোটারের। ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে থাকা ভোটারের চেয়েও, বেশি ভোট পড়ল ব্যালটে, এমনই অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাপে পড়েছেন হাবড়া দু নম্বর ব্লকের বিডিও শুভ্র চট্টোপাধ্যায়। রীতিমতো হাইকোর্টের নির্দেশে দ্রুত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে গোটা ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়ে। আর তাতেই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা।

ভোট প্রক্রিয়ায় কারচুপি ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ জানিয়ে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। আর সেখানে দেওয়া তথ্য সামনে আসতেই রীতিমতো অবাক স্বয়ং বিচারপতিও। জানা গিয়েছে, হাবড়া দু’নম্বর ব্লকের দিঘরা মালিকবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙ্গারিয়া ৬৮ নম্বর বুথ, বাকপুল ৭১ নম্বর বুথ এবং রন্ধনগাছা এই তিনটি বুথে মোট ভোটারের থেকেও বেশি ভোট পেয়েছেন শাসক দলের প্রার্থী।

একটি বুথে ১ হাজার ৪৮১জন ভোটার, ভোট পড়েছে ২ হাজার ১৭৭টি। আরও একটি বুথে ১ হাজার ৫২৯জন ভোটার, ভোট পড়ল ১ হাজার ৭৪০টি। অপর আর একটি বুথে ১ হাজার ৪৮৮জন ভোটার, ভোট পড়েছে ২ হাজার ৪৯৬টি। গোটা ঘটনায় যদিও শাসকদলের ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন এলাকাবাসীরা।

শাসকদলের তরফ থেকেও বিষয়টি নিয়ে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করা হয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে এই কেন্দ্রগুলিতে পুনরায় হতে পারে ভোট গ্রহণ। আর এখন ভুতুড়ে ভোটারের এই চর্চাই ঘোরাফেরা করছে এলাকার সর্বত্র। বিরোধীরাও বিষয়টিকে হাতিয়ার করে নেমেছেন ময়দানে। এই বিষয়ে হাবরার এক বিজেপি নেতা জানান, ‘ভিতরে ছাপ্পা মেরে ভোট বেশি করে নিয়েছে, আমাদের বের করে দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল করেছে। আমরা এই বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছি, যাতে এখানে ফের ভোট হয়। সঠিকভাবে ভোট হয়নি’।

ভোট গণনার দিন ব্লক প্রশাসনকে অভিযোগ জানালে বিষয়টিতে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে তাঁদেরকে বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছে বিজেপি। ভোটে কারচুপির মামলায় হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও-র রিপোর্ট তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। এই অস্বাভাবিক কাণ্ড দেখে ৪ঠা অগাস্টের মধ্যে বিডিও-র রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here