
দেশের সময়, বনগাঁ: বেআইনি শিক্ষা কর্মী নিয়োগে নাম জড়াল বনগাঁ শহরের এক সাংস্কৃতিক কর্মীর৷ তাঁর নাম সুশোভন দত্ত ৷ বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ শহরের কোড়ারবাগান এলাকায় ৷তিনি নরহরিপুর সারদাচরণ বিদ্যাপীঠের অশিক্ষক কর্মচারী৷ ২০১৮ সালে তাঁর নিয়োগ হয়েছিল ৷

দিন কয়েক আগে উচ্চ বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষা কর্মী নিয়োগের বেআইনি যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তাতেই নাম রয়েছে সুশোভন বাবুর ৷এই ঘটনা জানাজানি হতেই শহরের সাংস্কৃতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন সুশোভন বাবু ৷ চায়ের দোকানের আড্ডায় সান্ধ্যকালীন ঠেকে সুশোভন বাবুকে নিয়ে আলোচনা জমে উঠেছে ৷

বনগাঁ শহরের কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের কথায় , শেষ পর্যন্ত যদি এই বেআইনি তালিকায় থাকা শিক্ষা কর্মীদের চাকরি বাতিল হয় বনগাঁর সংস্কৃতি ক্ষেত্রে লজ্জার বিষয় হবে ৷

সুশোভন বনলতা নামে একটি সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদনা করেন৷ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা প্রকাশে তিনি অনেককেই সহযোগিতা করেন|প্রচ্ছদ শিল্পী হিসেবে তাঁর পরিচিতি রয়েছে ৷ সরকারি বেসরকারি নানা অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায় ৷ বনগাঁর রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা রয়েছে ৷এমন একজন সাংস্কৃতিক কর্মীর নাম বেআইনি তালিকায় থাকায় বনগাঁর শিক্ষা সংস্কৃতি জগতের মানুষেরা স্তম্ভিত৷ তাঁর প্রতি সহানুভূতি থেকে অনেকে বলছেন শেষ পর্যন্ত চাকরি যদি চলে যায় ছেলেটা জলে পড়বে ৷ এটা আমরা চাই না ৷ ইতিমধ্যেই মানসিক ভাবে বিব্রত বোধ করতে শুরু করেছেন সুশোভন ৷

পথে-ঘাটে পরিচিত লোকজনদের সঙ্গে দেখা হলেই মানুষ তাঁর কাছে জানতে চাইছেন ৷কেউ তাঁর দিকে তাকালেই তাঁর মনে হচ্ছে এই বুঝি বেআইনি তালিকা নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক হাসি হাসছেন তারা৷ সব মিলিয়ে অনেকটাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সুশোভন বাবু ৷

সুশোভন বাবু বলেন, সঠিক পদ্ধতি মেনে চাকরি পেয়েছি। ২০১৬ সালে অ্যাড দেখে সবার মত আমি ফর্ম ফিলাপ করি। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা হয়। তারপর বারাসাতে এসএসসি অফিস এ ভাইভা হয়। ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন হয়। আমার রাঙ্ক হয় এই জেলায় ১৩ । সল্টলেকে আচার্য্য সদন এ এসএসসি অফিস কাউন্সিলিং এ ডাক পাই। সেখানে আমি স্কুল সিলেকশন করি। তখনই এসএসসি রেকমেন্ড করে ও বোর্ড অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয়। পরদিন স্কুলএ জয়েন করি । পরে এ ডি আই অফিস থেকে অ্যাপ্রভাল দেয়। কিছুদিন পরে মেডিক্যাল টেস্ট হয়। ডি আই বি ভেরিফিকেশন হয়। কিছুদিন আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে পার্মানেন্ট অ্যাপরভাল দেয়।
এখন এই তালিকায় আমার নামে দেখে অবাক হচ্ছি৷

তিনি আরও জানান,কোর্ট এর প্রতি ভরসা আছে। বিষয় টি বিচারাধীন। তাই মন্তব্য করা উচিত নয়। তবে তালিকায় নামে দেখে সবাই জানতে চাচ্ছেন বেশ অস্বস্তি হচ্ছে ৷


